Higher Secondary Exam 2024

পরীক্ষাকেন্দ্রে একই ঘরে চার ছাত্রীর কাছে মোবাইল

আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটার একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে এ দিন ঘটনাটি ঘটে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, পরীক্ষা শুরুর বেশ কিছু সময় পরে এক পরীক্ষার্থী শৌচালয়ে গিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:০২
Share:

—প্রতীকী চিত্র। Sourced by the ABP

উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টার ঘটনাতেও কি জড়িয়ে ‘সিন্ডিকেট’? আলিপুরদুয়ারে বুধবার পরীক্ষা চলাকালীন একটি কেন্দ্রের একটি ঘরে একই সঙ্গে চার পরীক্ষার্থীর মোবাইল ফোন ধরা পড়ার পরে, সে প্রশ্ন উঠল। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, ওই চার ছাত্রীর সব পরীক্ষাই বাতিল করা হয়েছে। সংসদের তরফে ওই ঘটনার পিছনে কোনও ‘সিন্ডিকেট’ কাজ করছে কি না, তা জানতে স্থানীয় থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

Advertisement

আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটার একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে এ দিন ঘটনাটি ঘটে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, পরীক্ষা শুরুর বেশ কিছু সময় পরে এক পরীক্ষার্থী শৌচালয়ে গিয়েছিলেন। এক শিক্ষক শৌচালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়, ওই পরীক্ষার্থী কারও সঙ্গে কথা বলছেন বলে বুঝতে পারেন। বিষয়টি তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানান। এর পরেই ওই পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। চাপের মুখে সে পরীক্ষার্থী জানান, শুধু তাঁর কাছেই নয়, পরীক্ষা কেন্দ্রে আরও তিন জনের কাছে মোবাইল ফোন রয়েছে।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভাইসরি বোর্ডের যুগ্ম আহ্বায়ক ভাস্কর মজুমদার বলেন, ‘‘সঙ্গে সঙ্গেই ওই চার পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড বাতিল করা হয়।’’ রাতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “ওই চার পরীক্ষার্থীর সব পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।”

Advertisement

একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের একই ঘরে চার পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়ার পরে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে কোনও সিন্ডিকেট কাজ করছে কি না, সে প্রশ্ন দানা বেঁধেছে। ফালাকাটার ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের একাংশ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁদেরও সন্দেহ রয়েছে। শৌচালয়ে কারও সঙ্গে কথা বলার সময় ধরা পড়া পরীক্ষার্থীর মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখে তাঁরা জানতে পারেন, কোনও এক জনকে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই ব্যক্তির সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ যোগাযোগও করেন। কিন্তু প্রথমে সেই ব্যক্তি নিজেকে ওই ছাত্রীর ‘দাদা’ বলে পরিচয় দিলেও, পরে আর ফোন ধরেননি বলে অভিযোগ।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভাইসরি বোর্ডের যুগ্ম আহ্বায়ক ভাস্কর মজুমদার বলেন, “প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে কোনও সিন্ডিকেট কাজ করছে কি না বুঝতে স্থানীয় পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।” উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি বলেন, “এর পিছনে কোনও সিন্ডিকেট রয়েছে বলে বিশ্বাস করছি না। তবে স্থানীয় স্তরে বিষয়টির তদন্ত চলছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন