Special Task Force

উত্তরবঙ্গে ময়দানে নামল রাজ্যের বিশেষ বাহিনী

রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের এক কর্তা জানান, রাজ্য পুলিশের ডিজি-র নিয়ন্ত্রণে এই বাহিনী সরাসরি কাজ করবে। যে কোনও জেলা, এলাকায় ঢুকে কাজ করতে পারবে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২০ ০৬:৩৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যের সন্ত্রাস এবং অপরাধ দমনে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অনুকরণে রাজ্য জুড়ে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) গঠন হয়েছিল গত বছরের শেষে, সেপ্টেম্বরে। কলকাতা পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে প্রথমবার রাজ্য জুড়ে এমন বিশেষ বাহিনী গঠনের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব ঠিক থাকলে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে উত্তরবঙ্গের ময়দানে নামানো হল স্পেশাল টাস্ক ফোর্সকে।

Advertisement

দু’দিন আগে ফোর্সের উত্তরবঙ্গের ইউনিটের জন্য একজন আকাশ মৌর্য্যকে পুলিশ সুপার হিসাবে নিয়োগ করে শিলিগুড়ি পাঠানো হয়েছে। এখন শিলিগুড়ি থেকেই চলবে গোটা উত্তরবঙ্গে টাস্ক ফোর্সের নজরজারি। রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের এক কর্তা জানান, রাজ্য পুলিশের ডিজি-র নিয়ন্ত্রণে এই বাহিনী সরাসরি কাজ করবে। যে কোনও জেলা, এলাকায় ঢুকে কাজ করতে পারবে।

পুলিশ সূত্রের খবর, রাজ্যের এসটিএফের মাথায় আছেন একজন এডিজি। তা খালি থাকায় আইজি অজয় নন্দা বাহিনীটি দেখাশোনা করছেন। তাঁর অধীনে আছেন ডিআইজি শিসরাম ঝাঝারিয়া। উত্তরবঙ্গের জন্য শিলিগুড়িতে সদর দফতর করা হয়েছে। সেখানে থাকছেন একজন পুলিশ সুপার। তাঁর অধীনে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, একাধিক ইন্সপেক্টকর, সাব ইন্সপেক্টর এবং কনস্টেবলেরা থাকবেন। শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ফুলবাড়ি লাগোয়া রাজ্য সশস্ত্র বাহিনীর পাশেই এসটিএফের পুলিশ সুপারের দফতর আপাতত করা হয়েছে।

Advertisement

লকডাউন, করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতির মধ্যে কিছুটা দেরি হলেও বাহিনীকে গুছিয়ে নিয়ে কাজ পুরোদমে শুরুর জন্য সরকারের তরফে এসটিএফকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে অফিসার, কর্মী এবং পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা এখনও বাহিনীর থেকে গিয়েছে। অফিসারদের বক্তব্য, কোনও নতুন ইউনিট গুছিয়ে চালু করতে একটু সময় এবং পরিকাঠামোর সমস্যা প্রথম দিকে আসে, পরে তা মিটে যায়।

পুলিশ সূত্রের খবর, উত্তর পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের জঙ্গিযোগ বরাবরের। তার উপরে রয়েছে আইএসআই এবং বিভিন্ন মৌলবাদী, নকশালপন্থী সংগঠন। অতীতে দেখা গিয়েছে, আইএসআই, আলফা, কেএলও বা মাওবাদীরা শিলিগুড়িকে সেফ করিডর হিসাবে ব্যবহার করে কাজ করেছে। গত এক দশকে একাধিক ধরপাকড়, অস্ত্রের চোরাচালান, মাদক, জালনোটের সঙ্গে জড়িত হিসেবে বিভিন্ন সংগঠনের নাম উঠে এসেছে। জেলা পুলিশ, কমিশনারেট তো বটেই সিআইডি বা রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির পক্ষে একটানা ঘটনাগুলির তদন্তে লেগে থাকাটা অনেক সময়ই নানা কারণে সম্ভব হয়নি। এরজন্যই এ বার ময়দানে নামানো হল এসটিএফকে।

রাজ্য পুলিশের আর এক কর্তা জানান, জেলা পুলিশ বা কমিশনারেট, সিআইডি, আইবি ছাড়াও প্রয়োজনে নানা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রাখবে এসটিএফ। দিল্লি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ থেকে পাঠানো বিভিন্ন ইনপুট খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন