একান্তে কথা গৌতম অমুর, জল্পনা

পুর কর্তৃপক্ষের একাংশ অরবিন্দ ঘোষকে এড়িয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছে কি না তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে পুরসভার অন্দরে। শনিবার রাতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের বাড়িতে অরবিন্দবাবু তথা অমুবাবুর যাওয়া এবং সেখানে একান্তে মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলোচনার পর থেকেই তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৫ ০৩:০৬
Share:

পুর কর্তৃপক্ষের একাংশ অরবিন্দ ঘোষকে এড়িয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছে কি না তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে পুরসভার অন্দরে। শনিবার রাতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের বাড়িতে অরবিন্দবাবু তথা অমুবাবুর যাওয়া এবং সেখানে একান্তে মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলোচনার পর থেকেই তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরবিন্দবাবুর সমর্থন নিয়েই শিলিগুড়িতে পুরবোর্ড গড়েছেন বামেরা। অথচ পুরবোর্ডের কাণ্ডারি সেই ব্যক্তিকে ব্যতি রেখেই বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অরবিন্দবাবুর ঘনিষ্ঠ মহলেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যদিও অরবিন্দবাবু নিজে তা নিয়ে কোনও কিছু এখনও প্রকাশ্যে বলেননি। এই পরিস্থিতিতে শনিবারের ঘটনা পুরসভার অন্দরে নানা প্রশ্ন উস্কে দিয়েছে।

Advertisement

উত্তরবঙ্গ অরবিন্দবাবু অবশ্য দাবি করেছেন, পুরসভার কিছু উন্নয়ন কাজ নিয়েই তাঁর সঙ্গে অমুবাবুর কথা হয়েছে। মন্ত্রীর বাড়িতে তাঁর যাওয়া কোনও রাজনৈতিক কারণে নয়। বরং পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডের দূষণ সমস্যা মেটাতে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের একটি পরিকল্পনা হচ্ছে। পুঁটিমারিতেও পুরসভার একটি জমি রয়েছে। সেখানে ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরানোর কথাবার্তা চলছে। এলাকা মন্ত্রীর বিধানসভা ক্ষেত্রের মধ্যেই পড়ে। সে কারণে পুরসভা এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর উভয়পক্ষকে নিয়েই ওই কাজ করার চেষ্টা হচ্ছে। মন্ত্রীর সঙ্গে তা নিয়েই কথা বলতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে জানান।

বাম কাউন্সিলরদের অনেকেই বিষয়টি নিয়ে এ দিন খোঁজখবর করেন। বামফ্রন্টের কাউন্সিলরদের একাংশ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘তেমন কিছু হলে তো পুরবোর্ড রক্ষা করাই মুশকিল।’’ তবে তারা অরবিন্দবাবুকে বাদ দিয়ে কিছু করছেন এমন কোনও ব্যাপার নেই বলে মেয়রের ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলরদের একাংশ জানিয়েছেন। পুরসভার কর্মী আধিকারিকদের একাংশ বিষয়টি জেনে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। পুর কর্মীদের কয়েকজন জানান, শপথ গ্রহণের পরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান মঞ্চে অরবিন্দবাবুকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তা দৃষ্টিকটূ বলে মনে হয়েছিল অনেকের কাছেই। অরবিন্দবাবুর ঘনিষ্ঠদের একাংশ বিষয়টি নিয়ে অসন্তুষ্ঠ ছিলেন। সম্প্রতি বস্তিউন্নয়ন প্রকল্পে ঘর তৈরির বরাদ্দ বিলি, স্বনির্ভর প্রকল্পে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের শংসাপত্র বিলির মতো অনুষ্ঠানেও অরবিন্দবাবুকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে ওই কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ মহলের একাংশের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে।

Advertisement

শহরে ফেবার। এবার থেকে শিলিগুড়িতেও মিলছে ‘ফেবার’-এর চিমনি সহ রান্নাঘরের নানা সরঞ্জাম। সম্প্রতি শিলিগুড়িতে সংস্থার শো রুমের উদ্বোধন হয়েছে। চিমনি, হুডস, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ও শিলিগুড়িতে মিলবে বলে জানানো হয়েছে। পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাদের নিশ্চয়তার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement