TMC

জেলায় হাল ধরবেন কে, প্রশ্ন তৃণমূলে

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহার জেলার ৯টি আসনের ৮টি দখল করে তৃণমূল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২১ ০৫:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

জেলায় তৃণমূলের হাল ধরবেন কে? কোচবিহারে তা নিয়েই দলে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে কাজিয়া। রাজ্যে তৃণমূল যখন জিতেছে, তখন এক সময়ের সবুজ ঘাঁটি কোচবিহারে কার্যত তৃণমূলের ফলে ধস নেমেছে। লোকসভা ভোটে পরাজয়ের পরে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে সরিয়ে পার্থপ্রতিম রায়কে জেলার দায়িত্ব দিয়েছিল দল। তার পরেও দল কেন এগোতে পারেনি, সে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। গণনার পরে চার দিকে সন্ত্রাসের অভিযোগের মধ্যে কে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবেন তা নিয়ে টানাপড়েন চলতে থাকে। পরে দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় একাধিক জায়গায় যান। তিনি অবশ্য দ্বন্দ্ব মানতে নারাজ। তিনি বলেন, “দলনেত্রীর নির্দেশে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করেছি। এখনও করছি। হারের কারণ পর্যালোচনা করা হচ্ছে।”

Advertisement

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহার জেলার ৯টি আসনের ৮টি দখল করে তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ভাল ফল করে তৃণমূল। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসন ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। তার পর থেকে দলের সংগঠন ভেঙে পড়ে। অভিযোগ, তখন শাসকদলের নেতারা বিজেপির বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। তৃণমূলের প্রতিনিধিদলও বিক্ষোভে পড়েন। এমন অবস্থায় দলের জেলা সভাপতির পদ থেকে রবীন্দ্রনাথকে সরিয়ে বিনয়কৃষ্ণ বর্মণকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কয়েক দিনের মধ্যে বিনয়কৃষ্ণকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় পার্থপ্রতিমকে। ভোটের কয়েক মাস আগে জেলার সাংগঠনিক চেহারা বদলে দেওয়া হয়। দলের জেলা সভাপতি ও প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই ওই সিদ্ধান্ত নেয় দল। তাতেও লাভ হয়নি। লোকসভা ভোটের নিরিখে জেলার ৯টি বিধানসভা আসনের মধ্যে সিতাই ও শীতলখুচিতে এগিয়েছিল শাসকদল। বাকি সাতটি আসনে বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনে ৯টি আসনের ২টিতে জয়ী হয় তৃণমূল। শীতলখুচি আসনে দল হেরে গেলেও মেখলিগঞ্জ আসনে জয় পায় তারা।

শীতলখুচিতে লড়েছিলেন পার্থপ্রতিম। জয়ী আসন কেন ধরে রাখতে পারলেন না, প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের একটি অংশ। অন্য অংশের দাবি, দলকে খুব খারাপ অবস্থা থেকে অনেকটাই ভাল জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন পার্থপ্রতিম। তাই দু’টি আসনের জয়ের সঙ্গে অন্য আসনেও লড়াই হয়েছে।

Advertisement

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক নেতার কথায়, “পুরো দলকেই নতুন করে সাজানো উচিত। তা হলেই আগামী নির্বাচনে সফলতা আসবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন