ফের জলমগ্ন জলপাইগুড়ি

এক রাতের বৃষ্টিতেই থইথই রাস্তাঘাট, বাড়িও

বৃষ্টির জেরে ফের একবার জলমগ্ন হল জলপাইগুড়ি শহরের নানা এলাকা৷ পুর এলাকার বিভিন্ন রাস্তা-সহ জল ঢুকল অনেক বাসিন্দার বাড়িঘরেও৷ এক রাতের বৃষ্টি ফের একবার চরম দুর্ভোগে ফেলল কয়েকশো বাসিন্দাকে৷ বর্ষার শুরুতেই ফের প্রশ্ন উঠে গেল শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৬ ০২:৫৯
Share:

শুক্রবারও জল থইথই জলপাইগুড়ির সংস্কৃতিপাড়া। ছবিটি তুলেছেন সন্দীপ পাল।

বৃষ্টির জেরে ফের একবার জলমগ্ন হল জলপাইগুড়ি শহরের নানা এলাকা৷ পুর এলাকার বিভিন্ন রাস্তা-সহ জল ঢুকল অনেক বাসিন্দার বাড়িঘরেও৷ এক রাতের বৃষ্টি ফের একবার চরম দুর্ভোগে ফেলল কয়েকশো বাসিন্দাকে৷ বর্ষার শুরুতেই ফের প্রশ্ন উঠে গেল শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে জলপাইগুড়িতে টানা বৃষ্টি শুরু হয়৷ বৃষ্টি চলে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত৷ দুপুরের আগেই সকাল থেকে জলমগ্ন হয়ে পড়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা। পান্ডাপাড়া, কংগ্রেস পাড়া, মহামায়া পাড়া, জয়ন্তী পাড়ার একাংশ, নিউটাউন পাড়া, পবিত্রনগর কলোনি ছাড়াও উত্তর রায়কত পাড়া ও রেসকোর্স পাড়ায় জল জমে যায় ৷ পান্ডাপাড়া-সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক বাড়ি-ঘরেও জল ঢুকে যায়৷ বৃষ্টি থামার পর বিভিন্ন এলাকায় জল নামতে শুরু করলেও এখনও অনেক জায়গায় জলমগ্ন হয়ে রয়েছে ৷

মাত্র এক রাতের বৃষ্টিতে শহর জলমগ্ন হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে৷ আনন্দ পাড়ার বাসিন্দা গৃহবধূ সরস্বতী মাহাতোর কথায়, “একটু বৃষ্টিতেই রাস্তায় জল জমে তা ঘরে ঢুকে পড়ছে৷ আজও এর ব্যতিক্রম হল না৷ কতদিন যে আমাদের এই দুর্ভোগ চলবে জানি না৷” জলপাইগুড়ির আরেক বাসিন্দা বরুণ সরকারের কথায়, “ফি বছর জলপাইগুড়ি শহরের সেই এক চিত্র৷ একটু বৃষ্টি হলেই চারিদিক জলে থই থই৷ পুরসভা বা প্রশাসনের বিষয়টি দেখা উচিত ৷”

Advertisement

শহরে ফের জল জমায় বিরোধীরা এ দিন ফের একবার পুরসভার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন৷ সিপিএম কাউন্সিলর প্রমোদ মণ্ডল বলেন, “পরিকল্পনা করে নিকাশির কাজ করার জন্য সারা বছর ধরেই পুরসভার ক্ষমতাসীন বোর্ডের কাছে আমরা দাবি জানিয়ে এসেছিলাম৷ কিন্তু ওরা তা করেনি৷’’ এর ফলেই এখন সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। প্রমোদবাবুর আশঙ্কা বৃষ্টি বাড়লে মানুষের সমস্যা আরও বাড়বে।

তবে জলপাইগুড়ি পুরসভার পক্ষ থেকে এ দিন ফের দাবি করা হয়েছে, শহরের বেশ কিছু এলাকায় জল জমলেও কিন্তু বৃষ্টি থামতেই তা নেমে গেছে৷ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল বলেন, “অতি বৃষ্টির জন্যই এ বছর একাধিকবার এই পরিস্থিতি তৈরি হল৷ তবে বৃষ্টি থামতেই জল যেভাবে নামছে তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে পুরসভা নিকাশির কাজ ভালই করেছে৷”

সেচ দফতর সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত জলপাইগুড়িতে ১০৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে৷ প্রবল বৃষ্টির জেরে তিস্তা-সহ অন্য নদীগুলির জলও খানিকটা বেড়েছে৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন