পাহাড়ে সংগঠন গড়তে তৎপর বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। বুধবার কালিম্পঙে গিয়ে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে একান্তে বৈঠকেও সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। এ দিন দশহারা মিলন সমারোহ কমিটির উদ্যোগে একটি সভাও হয় কালিম্পঙের মারওয়াড়ি প্যালেসে। সংগঠকদের একাংশ জানিয়েছে, ওই কমিটি বিজেপির লোকজন নিয়েই মূলত তৈরি। সেখানে পাহাড়ের আন্দোলনের বিষয়টি তুলে ধরে পাহাড়বাসীর পাশে থাকার আশ্বাসও দেন দিলীপ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, পাহাড়ে এখন একমাত্র নেতা বিমল গুরুঙ্গ এবং একমাত্র দল মোর্চা। তারা এনডিএ’র সহযোগী। সেই সঙ্গে বিজেপি’র সংগঠনও রয়েছে। দিলীপ জানান, পাহাড়ের অনেকে তাঁদের সঙ্গে যোগযোগ করছেন। তাঁরা বুঝতে পারছেন, সর্বভারতীয় দলের সঙ্গে থাকলে অনেক বেশি লাভবান হবেন।
বারবার পাহাড়ের মানুষের পাশে থাকার কথাই বলেছেন দিলীপ। বলেছেন, ‘‘১০৪ দিনের বন্ধ, পুলিশের গুলি, গ্যাস চালানোর পর কেউ তাঁদের খোঁজ করেননি। সে জন্যই এসেছি।’’ আন্দোলনের সময়ে মৃত দাওয়া ভুটিয়ার বাড়ি যাওয়ার কথাও জানান। কিন্তু সব কিছুর মধ্যে সংগঠন গড়ার কাজটা যে মুখ্য, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে তাঁর কর্মসূচিতেই।
দিলীপ নিজেই জানান, ‘‘দলের সাংগঠনিক কাজ রয়েছে। দুর্গাপুজোর পর দশমীর টিকা উৎসব বা বিজয়া সম্মেলনও রয়েছে।’’ দলের দার্জিলিং পাহাড়ের নেতা মনোজ দেওয়ান সেই শিলিগুড়ি থেকে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। তিনিও সংগঠন শক্তিশালী করার কথাই বলেন। পাহাড়ের কয়েক জন বললেন, ‘‘বিমল গুরুঙ্গ পাহা়ড়ে না থাকায় তাঁর পরিসরটি দখলের চেষ্টা করছেন সকলেই। মুখে বিমলের প্রশংসা করলেও দিলীপেরও উদ্দেশ্য এক।’’ পাহাড়ের অন্য নেতারা অবশ্য বিজেপি নেতার এই বাড়তি উৎসাহকে খুব ভাল ভাবে নিচ্ছেন না। হরকাবাহাদুর ছেত্রী বলেন, ‘‘এত দিন তাঁরা আসেননি। এখন নিজেদের স্বার্থের জন্য এসেছেন। মানুষ তা বুঝতে পারছে।’’