সিআইডির পর হোমকাণ্ডে এ বার সাফল্য জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের৷ চন্দনার হোম থেকে বেআইনি ভাবে বিক্রি করে দেওয়া এক শিশুর খোঁজ পেল তারা কোচবিহারের দিনহাটায়৷ তাকে উদ্ধার করে সোমবার বিকেলে জলপাইগুড়ি চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ মঙ্গলবার তাকে সিডব্লিউসি-তে হাজির করানো হবে৷
সন্দেহটা প্রথম হয় নাম বিভ্রাটের সূত্র ধরে। চন্দনা চক্রবর্তীরা গ্রেফতার হওয়ার কয়েক দিন পরে বীরপাড়ার এক দম্পতি সমীর ও কাজল বাসফোড় পুলিশে অভিযোগ করেন, তাঁদের সন্তান দীপালি ওই হোম থেকে নিখোঁজ। চন্দনার হোম থেকে ১৫টি শিশুকে সরিয়ে কোচবিহার ও দুই দিনাজপুরের মোট তিনটি হোমে রাখা হয়েছিল। তাদের ছবি ওই দম্পতিকে দেখানো হয়। তখন তাঁরা যে শিশুটিকে দেখে দীপালি বলে চিহ্নিত করেন, সে চাঁদনি নামে পরিচিত। বালুরঘাটের হোমে গিয়ে শিশুটিকে সামনে থেকে দেখেও তাঁরা ফের একই দাবি করেন।
তখন প্রশ্ন ওঠে, এই যদি দীপালি হয় তা হলে চাঁদনি কোথায়? এই পরিস্থিতিতে চন্দনা ও সোনালী মণ্ডলকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, চাঁদনি নামের শিশুটি কোচবিহারের দিনহাটায় বলরামপুর রোডে এক দম্পতির কাছে রয়েছে৷ জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানান, ২০১৬ সালের মে মাসে ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে শিশুটিকে কিনেছিলেন ওই দম্পতি। তাঁদের দাবি, চন্দনা তাঁদের বোঝান, পরে আইনের মাধ্যমে শিশুটি তাঁদের হয়ে যাবে।
এ দিন ওই দম্পতি ও শিশুটিকে জলপাইগুড়িতে নিয়ে এসেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, চাঁদনি আসলে সুখনি দাস নামে এক মহিলার মেয়ে। বছর কয়েক আগে সুখনির গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় তাঁর স্বামী। কোনও মতে বাঁচলেও তাঁকে ঠাঁই নিতে হয়েছিল পথে।