ফাইল চিত্র।
বন্যা রুখতে শুধু পুরসভা নয় শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকেও (এসজেডি) জলপাইগুড়ি শহরে সক্রিয় হতে নির্দেশ দিল সেচ দফতর। উত্তরবঙ্গে বন্যা রুখতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির বৈঠক হয়েছে গজলডোবায়। বৈঠকে জলপাইগুড়ি শহরের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় হয়।
সেচমন্ত্রীর নির্দেশ, পুরসভার সঙ্গে সেচ দফতর ও এসজেডিএকেও সামিল হতে হবে বন্যা প্রতিরোধের কাজে। আপাতত স্থির হয়েছে, তিস্তা ও করলার মোহনা থেকে বালি তোলা শুরু হবে। পলি জমে মোহনা উঁচু হয়ে যাওয়ায় করলার জল সহজে বেরতে না। পেরে শহরে জল ঢুকে যাচ্ছে।
গত বছর জলপাইগুড়ি শহরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। প্রবল বৃষ্টিতে বামনপাড়া, সরকারপাড়া, অরবিন্দনগরে করলা নদীর জল ঢুকতে শুরু করে। মাঝরাতে জলমগ্ন হয়ে পরে পুরো এলাকা। রাতভর জলবন্দি থাকে শহরের অন্তত ৬টি ওয়ার্ড। পরপর কয়েকদিন বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় শহরে। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বাসিন্দারা। এ বছর পুর কর্তৃপক্ষ মাসখানেক আগে থেকে নিকাশি নালা সাফাইয়ের কাজ শুরু করেছে। করলা নদী থেকে তোলা হয়েছে কচুরিপানাও। তাতেও আশঙ্কায় রয়েছেন শহরবাসী। গত সপ্তাহেই বৃষ্টিতে শহরের তিনটি ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল।
এসজেডিএ-এর চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “জলপাইগুড়ি শহর বন্যার দিক থেকে সবসময়েই স্পর্শকাতর। কাজ শুরু হয়েছে।”
এসজেডিএ কাজ করলে পুর এলাকায় বন্যা মোকাবিলা অনেকটাই সহজ হবে বলে আশা করেছেন পুরসভার চেয়ারম্যানও মোহন বসুও। তাঁর কথায়, “শহরে এখন জল সে ভাবে দাঁড়ায় না। কিন্তু অতিবৃষ্টি হলে তা হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। সেচ দফতর, এসজেডিএ সকলকে নিয়েই বন্যা মোকাবিলার সুসংহত পরিকল্পনা করা হয়েছে।”