বনে কড়া নজর টিলাবাড়িতে

একদিকে ২৫টি বুনো হাতির দল। তাদের লোকালয়ে ঢোকা রুখতে ৩০ জন বনকর্মীর অতন্দ্র পাহারা। আবার চা বাগানের ঝোপে ঝোপে সত্যিই হলুদ কালো ডোরাকাটা রয়েছে কি না সেটা খেয়াল রাখতে ঘুরছে ‘মোবাইল ইউনিট’। ডুয়ার্সের মুখ্যমন্ত্রীর দুই রাতের সফর শুরু হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীর আবাসস্থল থেকে বুনোদের দূরে রাখতে এ যেন এক অন্য লড়াই চলছে।

Advertisement

সব্যসাচী ঘোষ

টিলাবাড়ি শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:০৬
Share:

প্রহরা: এই কটেজেই থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক

একদিকে ২৫টি বুনো হাতির দল। তাদের লোকালয়ে ঢোকা রুখতে ৩০ জন বনকর্মীর অতন্দ্র পাহারা। আবার চা বাগানের ঝোপে ঝোপে সত্যিই হলুদ কালো ডোরাকাটা রয়েছে কি না সেটা খেয়াল রাখতে ঘুরছে ‘মোবাইল ইউনিট’। ডুয়ার্সের মুখ্যমন্ত্রীর দুই রাতের সফর শুরু হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীর আবাসস্থল থেকে বুনোদের দূরে রাখতে এ যেন এক অন্য লড়াই চলছে।

Advertisement

গরুমারা জাতীয় উদ্যান ঘেঁষা টিলাবাড়ি পর্যটন দফতরের কমপ্লেক্স কটেজে আজ, মঙ্গল ও আগামীকাল, বুধবার রাতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখান থেকেই চালসার অদূরে আরেক জঙ্গল লাগোয়া টিয়াবনে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। জঙ্গলের পরিবেশে মুখ্যমন্ত্রী আসছেন এমন এক সময়ে যখন চালসা, মেটেলির কাছেই মাত্র চার দিন আগে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার দেখার দাবি করেছেন স্থানীয় তিন যুবক। ধান কাটার মরসুমে হাতিরাও এখন ডুয়ার্সের লোকালয়মুখী।

যে হেতু টিলাবাড়ির পাশ দিয়েই হাতি এবং চিতাবাঘ চলাচলের স্বাভাবিক পথ তাই মুখ্যমন্ত্রীর জন্যেও সতর্কবার্তাও থাকছে। মুখ্যমন্ত্রী সন্ধ্যায় হাঁটতে ভালবাসেন। কিন্তু টিলাবাড়ির ক্ষেত্রে তাতে বিধিনিষেধ থাকছে। জঙ্গলের প্রান্তে মুখ্যমন্ত্রী যাতে না বার হন, আর বেরোতে হলেও যাতে সেই খবর আগাম বন দফতরের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়, সেই আর্জিও মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের জানিয়ে দিয়েছে বন বিভাগ। রাত বিরেতে হাতির পালদের দূরে সরিয়ে রাখতে শব্দ বাজি ফাটানো হয়। সেই আওয়াজে যে চিন্তার কিছু নেই বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে তাও।

Advertisement

গরুমারা দক্ষিণ রেঞ্জে কার্যত ছুটি বাতিল করে রেঞ্জার অয়ন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ৩০জন বনকর্মী প্রচুর শব্দ বাজি আর সার্চ লাইট নিয়ে সারা রাত পাহারা শুরুও করেছেন। গরুমারা বনবিভাগের ডিএফও নিশা গোস্বামী বলেন, “যদিও আমরা রয়্যাল বেঙ্গলের অস্তিত্ব পাইনি, তবুও বাঘ থেকে হাতি সকল ক্ষেত্রেই প্রবল নজরদারি রয়েছে। বনকর্মীদের কয়েকটি স্তরে ভাগ করে দিয়ে জঙ্গল এবং জঙ্গল লাগোয়া এলাকাতে নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন