Siliguri

‘আর কখনও বাড়ি ফিরব না’, দাদার বকুনি খেয়ে অভিমানে নিজেকে শেষ করে দিল দ্বাদশের ছাত্র!

মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, রাতে একটু দেরি করে বাড়ি ফিরত রূপম। তাই দাদা মিঠুন ছোট ভাইকে শাসন করেছিলেন। রবিবার রাতে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় দুই ভাইয়ের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৩ ২৩:১৮
Share:

রাত করে বাড়ি ফেরায় দাদা বকেছিলেন। তাই অভিমানে আত্মঘাতী হল ছোট ভাই! —প্রতীকী চিত্র।

দাদার বকুনি খেয়ে অভিমানে আত্মঘাতী হল ভাই। সোমবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগরের রামকৃষ্ণপল্লি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম রূপম রায়। সে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

Advertisement

মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, রাতে একটু দেরি করে বাড়ি ফিরত রূপম। দাদা মিঠুন রায় তাই ছোট ভাইকে শাসন করেছিলেন। রবিবার রাতে দাদার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ভাইয়ের। দাদা বকাবকি করায় রাগ করে রাতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। কিন্তু রাত গভীর হওয়ার পরেও বাড়ি না ফেরায় তাকে খুঁজতে বার হন পরিবারের লোকজন। চিন্তায় পড়েন কিশোরের বাবা-মা। এর মধ্যে রাত প্রায় ১২টা নাগাদ রূপম বাড়িতে ফোন করে জানায় যে, সে আর ফিরবে না। এই বলে ফোন রেখে দিলে পরিবারের লোকেরা তাকে হন্যে হয়ে খুঁজতে শুরু করে।

রাতে একটি খালের পাশে রূপমের জুতো এবং মোবাইল ফোন মেলে। কিন্তু তাকে আর পাওয়া যায়নি। খবর দেওয়া হয় বিধাননগর থানায়। সোমবার সকালে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি দল খালে নেমে তল্লাশি চালিয়ে রূপমের দেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনার শোকস্তব্ধ পরিবার। কাঁদতে কাঁদতে রূপমের দাদা মিঠুন বলেন, ‘‘এমন ঘটনা ঘটবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করিনি। ছোট ভাইকে শাসন করেছিলাম শুধু। রাতে দেরি করে বাড়ি ফিরত ও। সেখান থেকে এমন একটা কাণ্ড ঘটাল!’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন