পাখার দাবি, তাণ্ডব স্কুলে

বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের একাংশ মারমুখী হয়ে তাণ্ডব চালায় স্কুলে। ভাঙচুর হয় প্রধানশিক্ষক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘরের আসবাবপত্র। বাদ যায়নি প্রধানশিক্ষকের ব্যক্তিগত গাড়িও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মাথাভাঙা শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৮ ০২:৩৪
Share:

ক্ষতিগ্রস্ত: হামলায় এমনই হাল প্রধানশিক্ষকের গাড়ির। নিজস্ব চিত্র

ছাত্রছাত্রীরা গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে পাখার দাবি জানিয়েছিল স্কুলের গরমের ছুটির আগেই। প্রধানশিক্ষকও আশ্বাস দিয়েছিলেন গরমের ছুটির মধ্যেই ক্লাসঘরে পাখা লাগানো হবে। গরমের ছুটি শেষ হয়ে স্কুল খুলে ছাত্র-ছাত্রীরা দেখে পাখা নেই। এর প্রতিবাদেই বিক্ষোভে উত্তাল হল মাথাভাঙা ১ নং ব্লকের কুক্তিকাটা ধরণীকান্ত হাইস্কুল।

Advertisement

বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের একাংশ মারমুখী হয়ে তাণ্ডব চালায় স্কুলে। ভাঙচুর হয় প্রধানশিক্ষক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘরের আসবাবপত্র। বাদ যায়নি প্রধানশিক্ষকের ব্যক্তিগত গাড়িও। গাড়ি ভাঙচুর করে করে উল্টে ফেলে দেওয়া হয়। পড়ুয়াদের দাবি, কয়েকজন উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুর করে। পাখা যতদিন না লাগানো হবে ততদিন বয়কট করা হবে বলেও দাবি পড়ুয়াদের।

প্রধানশিক্ষক অরবিন্দ বীর বলেন, ‘‘আমি অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য বাইরে গিয়েছিলাম। একজন শিক্ষককে দায়িত্ব দিই। কিন্তু ওনার মা প্রয়াত হওয়ায় উনি করতে পারেনি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম স্কুল যেদিন খুলবে সেদিন ফ্যান লাগানো হবে। সেই মত আজ দুপুরে ফ্যান আসার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই এই ঘটনা ঘটে।’’ তিনি জানান, এতে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। পুরো ঘটনা শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের জানিয়েছেন বলে জানান অরবিন্দবাবু।

Advertisement

উদ্বিগ্ন শিক্ষা আধিকারিকরা। তবে স্কুল ভাঙচুর ও প্রধান শিক্ষকের গাড়ি ভাংচুর নিয়ে থানায় অভিযোগ করবেন না বলে জানান মাথাভাঙার মহকুমা স্কুল পরিদর্শক নাসির আহমেদ। তিনি বলেন, ‘‘এটা আশা করা যায় না। তবে যারা এ রকম করেছে তারা সবাই নাবালক। না বুঝে করেছে। তাই থানায় এ নিয়ে অভিযোগ করা হবে না। আমরা বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।’’ পাখার সমস্যা দু-একদিনের মধ্যে মেটানোরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন