কেবলপাড়া হাইস্কুলে অনশনরত ছাত্রছাত্রীরা। মঙ্গলবার সন্দীপ পালের তোলা ছবি।
উচ্চ মাধ্যমিকে দর্শন বিষয় চালুর দাবিতে রাজগঞ্জের কেবলপাড়া হাইস্কুলে একদল ছাত্রছাত্রী প্রতীকী অনশন আন্দোলন করলেন।
মঙ্গলবার স্কুল চত্বরে ওই আন্দোলনের জেরে শিক্ষকরা ‘কমন রুমে’ ঢুকতে পারেনি। বারান্দায় বসে তাঁদের সময় কাটে। বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্ররা ফিরে চলে যায়। আজ, বুধবার ছাত্ররা একই দাবিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতর ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছে। যদিও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল পরিদর্শক স্বপন সামন্ত বলেন, “কেবলপাড়া স্কুলে ফের দর্শন বিষয় চালু করার জন্য চেষ্টা চলছে। পরিচালন কমিটি চিঠি দিলেই সমস্যা মিটে যায়।”
ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, দিনের পর দিন একই আশ্বাস শুনতে হচ্ছে। কাজ কিছু হচ্ছে না। ওই কারণে সোমবার সাময়িকভাবে আন্দোলন তুলে নেওয়া হলেও মঙ্গলবার ফের শুরু হয়েছে। এ দিন সকাল দশটা নাগাদ ১৬৯ জন ছাত্রছাত্রী ‘টিচার্স কমন রুমের’ দরজা আটকে অনশনে বসে দর্শন বিষয় চালুর দাবিতে স্লোগান দিতে শুরু করে। শিক্ষক শিক্ষিকা পরিস্থিতি দেখে নিজেদের বসার ঘরে না গিয়ে বারান্দায় বসে থাকেন। অন্য ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরা ফিরে চলে যেতে শুরু করে। টানা চারদিন থেকে স্কুলের ওই পরিস্থিতি দেখে অভিভাবক মহলেও ক্ষোভ বাড়ছে। মঙ্গলবার কয়েকজন অভিভাবক আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ দিকে ছাত্র আন্দোলনের ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে উতর চাপান। স্কুলের প্রধানশিক্ষক বিকাশ সিদ্ধা বলেন, “দর্শন বিভাগ চালু হোক এটা আমিও চাই। শিক্ষক না থাকায় সমস্যা হয়েছে। শিক্ষা দফতরে বিষয়টি জানান হয়েছে। শিক্ষক না পাঠানো হলে আমার কি করার আছে।”
যদিও স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্য বীরেন রায় বলেন, “প্রধানশিক্ষক কয়েক মাস আগে উদ্যোগী হলে সমস্যা থাকত না।” যদিও তিনি জানান, শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে যা করার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল পরিদর্শক করবেন। ওই বিষয়ে স্কুল পরিচালন সমিতির কিছু করার নেই। যদিও ছাত্রছাত্রীরা ওই বিতর্কে যেতে নারাজ। তাঁদের প্রশ্ন, ‘‘গত বছর পর্যন্ত দর্শন বিষয় চালু থাকার পরেও কেন তুলে দেওয়া হবে? শিক্ষক না থাকলে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? কেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জলপাইগুড়ি জেলা আধিকারিকরা চুপ ছিলেন?’’ যদিও ওই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। এক ছাত্রের অভিযোগ, সমস্যা তৈরি করা হয়েছে। তাঁর খেসারত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জলপাইগুড়ি জেলা আধিকারিকদের দিতে হবে। ওই ছাত্র বলেন, “প্রয়োজনে বুধবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জলপাইগুড়ি জেলা দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হবে।”