রোদের মধ্যেই হঠাৎ শিলাবৃষ্টি

আকাশে চড়া রোদ, সঙ্গে বেশ গরম। তার মধ্যেই আচমকা ধুলোর ঝড় ওঠে। তার খানিকক্ষণের মধ্যেই ঝেঁপে শিল পড়তে শুরু করে। শুক্রবার দুপুরে মালদহের রতুয়ার বেশ কিছু এলাকায় প্রবল শিলাবৃষ্টিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মানুষজন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৭ ০৩:১২
Share:

ঝাঁঝরা: আলিপুরদুয়ারে শিলাবৃষ্টিতে এমনই হাল টিনের চালের। ছবি: নারায়ণ দে

আকাশে চড়া রোদ, সঙ্গে বেশ গরম। তার মধ্যেই আচমকা ধুলোর ঝড় ওঠে। তার খানিকক্ষণের মধ্যেই ঝেঁপে শিল পড়তে শুরু করে। শুক্রবার দুপুরে মালদহের রতুয়ার বেশ কিছু এলাকায় প্রবল শিলাবৃষ্টিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মানুষজন।

Advertisement

এ দিন দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ হঠাৎ রোদের মধ্যেই শিল পড়তে শুরু করে। আড়াইডাঙ্গা এলাকায় প্রথমে ঝিরঝিরে বৃষ্টির সঙ্গে ছোট শিল পড়লেও পরে রোদ উঠে যায়। তারপর চড়া রোদের মধ্যেই বড় আকারের শিল পড়তে শুরু করে। আতঙ্কে পথঘাট ছেড়ে মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে পালাতে শুরু করেন। শিলের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টালি ও টিনেরও অসংখ্য বাড়ি।

বাহারালের তৃণমূল নেতা সৌমিত্র রায় বলেন, ‘‘জীবনে এমন কাণ্ড দেখিনি। প্রচুর ঘরদোরের ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসনকে সব জানিয়েছি। চাঁচলের মহকুমাশাসক পুষ্পক রায় বলেন, ‘‘শিলে টিন ও টালির ছাদের বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিডিওরা এলাকায় গিয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

জমাটি: বৃষ্টিতে পড়েছে এমন বড় শিলা। রতুয়ায়। নিজস্ব চিত্র

আলিপুরদুয়ারেও ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়। প্রায় পাঁচশো বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। ধান ও পাট চাষেরও ক্ষতি হয়েছে ঝড়ে। রাতে ফের বৃষ্টি আসায় আতঙ্কে ঘুমোতে পারেননি চালনিরপাক, চণ্ডীর ঝাড় এলাকার বহু বাসিন্দা। চালনির পাক এলাকার বাসিন্দা সুখো রায় বলেন, “শোয়ার ঘর, বারান্দার টিনের চালে কয়েকশো ফুটো হয়েছে। চাষের কাজ করে খাই। কী ভাবে ঘর সারাব জানি না।”

ব্লক থেকে ২৪ ঘণ্টা পরেও কোনও সাহায্য মেলেনি বলে তাঁদের অভিযোগ। আরেক বাসিন্দা বিজয় রায় বলেন, ‘‘বর্ষায় কী ভাবে রাত কাটাবো বুঝতে পারছি না। টিন পাল্টাতে যা টাকা লাগাবে তা আমাদের নেই।’’ একই অবস্থা মালতি রায়, ফুলকুমার রায়দের বাড়ির। আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক দেবীপ্রসাদ করণম বলেন, ‘‘বহু বাড়ির টিন ফুটো হয়ে গিয়েছে বলে খবর রয়েছে। ব্লক আধিকারিকদের ত্রাণ বিলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

বৃহস্পতিবার তুমুল ঝড় বৃষ্টি হয় কোচবিহারের তুফানগঞ্জ, দিনহাটা ও মাথাভাঙাতেও। তুফানগঞ্জ ২ ব্লকের শালবাড়ি, বাঁশরাজা, হরিরহাট এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি। বহু বাড়ির টিনের চাল উড়ে যায়। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। গাছ ভেঙে পড়ে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি পুষ্পিতা ডাকুয়া বলেন, ‘‘প্রাথমিক হিসেবে জেলাজুড়ে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছি। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন