হাল দেখবেন ভাইয়াজি

যাঁরা সঙ্ঘ মনোভাবাপন্ন নন, তাঁদের কাছে সংগঠনের বিচারধারা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে কি না, তারও খোঁজ দিতে বলা হয়েছে। কাল, শুক্রবার শিলিগুড়িতে এসে সেই রিপোর্ট দেখবেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৭ ০৭:০০
Share:

বাংলাদেশ, নেপাল সীমান্তবর্তী এলাকায় নজর আরএসএসের। ওই এলাকায় সংগঠনের হাল কেমন, তার বিশদ রিপোর্ট চেয়েছেন আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক সুরেশ ভাইয়াজি জোশী। কোন এলাকায় কত জন স্বয়ংসেবকে, তাঁদের মধ্যে কত জন নিয়মিত শাখায় আসেন—জানাতে হবে তা-ও। যাঁরা সঙ্ঘ মনোভাবাপন্ন নন, তাঁদের কাছে সংগঠনের বিচারধারা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে কি না, তারও খোঁজ দিতে বলা হয়েছে। কাল, শুক্রবার শিলিগুড়িতে এসে সেই রিপোর্ট দেখবেন তিনি।

Advertisement

শুক্র ও শনিবার, দু’দিন ধরে শিলিগুড়ির সেবক রোডে উত্তরবঙ্গ মাড়োয়ারি পঞ্চায়েত ভবনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) রাজ্য স্তরের পদাধিকারীদের বৈঠক রয়েছে। সেখানেই উপস্থিত থাকবেন ভাইয়াজি জোশী। ফি বছরই পুজোর পরে সঙ্ঘের রাজ্য স্তরের বৈঠক হয়েছে কলকাতা অথবা আশেপাশের জেলাগুলিতে। এ বারই প্রথম উত্তরবঙ্গে এই বৈঠক হচ্ছে। সঙ্ঘ সূত্রের খবর, সংগঠনের কাছে উত্তরবঙ্গের যে পৃথক গুরুত্ব রয়েছে, তা বোঝাতেই শিলিগুড়িতে বৈঠক।

আরএসএসের বৈঠকে ডাকা হয়েছে বিজেপি-সহ অন্য শাখা সংগঠনের প্রতিনিধিদেরও। বিজেপির রাজ্য কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকরা সকলেই বৈঠকে থাকবেন বলে সঙ্ঘ সূত্রের খবর। বিজেপির নিজস্ব সাংগঠনিক কাজকর্ম কতটা এগোলো, তা নিয়েও রিপোর্ট দিতে হবে। রাজ্যে বিজেপির বুথ চলো অভিযান শুরু হয়েছিল শিলিগুড়ি থেকেই। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এসেছিলেন শিলিগুড়িতে। তার কয়েক মাসের মাথায় এ বার আরএসএসের সর্বভারতীয় সংগঠনের অন্যতম ‘মাথা’ ভাইয়াজির উপস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছেন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারাও। বৈঠকের গোপনীয়তা বজায় রাখতে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশেও বিধিনিষেধ জারি হয়েছে।

Advertisement

সীমান্ত এলাকা নিয়ে আরএসএস উৎসুক কেন?

উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বাংলাদেশ সীমান্ত। এলাকাগুলিতে সংখ্যালঘু বাসিন্দারা সংখ্যায় বেশি। বিজেপির সাংগঠনিক শক্তিও এই সব এলাকায় একেবারে তলানিতে। কোচবিহার-জলপাইগুড়ি-মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের এই সব এলাকায় বিজেপির রাজ্য নেতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এসেও দাঁত ফোটাতে পারেননি বলে মনে করছে সঙ্ঘ। তাদের মতে, সংখ্যালঘুদের নিজেদের দিকে টানতে পারা যাবে না ধরে নিয়েই সংখ্যাগুরুদের একজোট করা উচিত। এই মেরুকরণের কাজটিই আরএসএস করতে চাইছে। আরএসএস অবশ্য মেরুকরণের দাবি মানতে চাননি। সঙ্ঘের রাজ্যের এক মুখপাত্রের কথায়, ‘‘সীমান্ত এলাকায় নানা দেশ-বিরোধী কাজ হয়। বিদেশি শক্তির মদতে অনুপ্রবেশ হয়। তাতে রাজনৈতিক মদতও রয়েছে। আরএসএসের কর্মীরা সক্রিয় থাকলে তা অসম্ভব। সে কারণেই উদ্যোগ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন