ডুয়ার্সের ১৪টি চা বাগানে কর্মবিরতি

গত এক বছর ধরেই অনিয়মিত মজুরি। মালিকপক্ষই হোক বা সরকারপক্ষ— কারোর সঙ্গে বৈঠকেই মেলেনি সমাধানসূত্র। অবশেষে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির পথেই হাঁটল ডুয়ার্সের ১৪টি চা বাগানের শ্রমিকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ফালাকাটা শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৫ ১৬:১৯
Share:

গত এক বছর ধরেই অনিয়মিত মজুরি। মালিকপক্ষই হোক বা সরকারপক্ষ— কারোর সঙ্গে বৈঠকেই মেলেনি সমাধানসূত্র। অবশেষে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির পথেই হাঁটল ডুয়ার্সের ১৪টি চা বাগানের শ্রমিকেরা।

Advertisement

ডুয়ার্সে ডানকান গোষ্ঠীর মোট ১৪টি চা বাগান রয়েছে। সবক’টি চা বাগান মিলিয়ে সেখানে কাজ করেন প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক। আর এঁদের উপর নির্ভরশীলের সংখ্যাটা ছাড়িয়েছে ৭৫ হাজারেরও উপরে। শ্রমিকদের অভিযোগ, গত এক বছর ধরেই তাঁদের মজুরি ঠিকমতো মিলছে না। এ নিয়ে মালিকপক্ষের কাছে বহু বার দরবার করেছেন তাঁরা। তবে আশ্বাস মিললেও মেলেনি মজুরি। গত ১১ জুলাই এ নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকও হয়। সেখানে বকেয়া মজুরি মেটানোর কথা উঠলেও তা মানেননি বাগান কর্তৃপক্ষ। ফলে উপায় না দেখে এ দিন থেকেই বন্‌ধ ডেকেছে শ্রমিক ইউনিয়নগুলি। বন্‌ধে সায় রয়েছে বাম ও জন বার্লা গোষ্ঠীর শ্রমিক ইউনিয়নগুলিও। তারাই সক্রিয় ভাবে বন্‌ধের সমর্থনে মুখ খুলেছে। ইউনিয়নগুলির দাবি, সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবেই।

কর্মবিরতি চলাকালীন বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে শ্রমিক ইউনিয়নগুলির। আগামী ১৭ জুলাই নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসবে শ্রমিক নেতারা। বৈঠকে আগামী কর্মপদ্ধতি ঠিক করা ছাড়াও চলতি মাসের ২০ তারিখ কারখানার সামনে প্রদর্শন করবে ইউনিয়নগুলি।

Advertisement

উত্তরবঙ্গের যুগ্ম শ্রম আধিকারিক মহম্মদ রিজওয়ান বলেন, “মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। সরকারও চেষ্টা করেছে যাতে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।” এ দিন তিনি আরও বলেন, “শ্রমিকদের পিএফ বকেয়া রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি খোঁজ নিচ্ছি।”

ডানকান কর্তৃপক্ষের তরফে অবশ্য এ নিয়ে এ দিন বিকেল পর্যন্ত কোনও বক্তব্য মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন