আবর্জনা জমে দূষিত সুটুঙ্গা নদী

নদীর জলে দিনভর চলে জামাকাপড় কাচা, গবাদি পশুকে স্নান করানো। শহরের জঞ্জালও জমা করা হয় সেই নদীরই চরে। আর এর ফলে মাথাভাঙার সুটুঙ্গা নদী ক্রমশ দূষিত হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মাথাভাঙা শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:০১
Share:

দুর্ভোগ: এমনই অবস্থা সুটুঙ্গা নদীর চরের। নিজস্ব চিত্র

নদীর জলে দিনভর চলে জামাকাপড় কাচা, গবাদি পশুকে স্নান করানো। শহরের জঞ্জালও জমা করা হয় সেই নদীরই চরে। আর এর ফলে মাথাভাঙার সুটুঙ্গা নদী ক্রমশ দূষিত হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাসিন্দারা অবশ্য এ জন্য দুষছেন পুরসভার গাফিলতিকেই। যদিও পুরসভার কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

Advertisement

মাথাভাঙা শহরকে মাঝ বরাবর ভাগ করেছে সুটুঙ্গা নদী। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই নদীর পাড়ে দিনভর চলে গবাদিপশুদের স্নান করানো, জামাকাপড় কাচা। ফলে, দিন দিন নদীর জল দূষিত হচ্ছে। এলাকার এক বাসিন্দা বিপুল বর্মণ বলেন, ‘‘নদীর জল দূষিত হওয়ায় এক দিকে যেমন তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জলজ প্রাণীরাও। এক সময়ে প্রচুর নদীয়ালি মাছ পাওয়া যেত সুটুঙ্গায়। এখন তারও দেখা মেলে না। কয়েক মাস আগে মৎস্য দফতর মাছের চারা ছাড়া হলেও দেখা মেলে না তারও।’’

বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার সাফাইকর্মীরা দিনের পর দিন সুটুঙ্গার চরে শহরের আবর্জনা ফেলায় দূষণ বাড়ছে। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিকাশ বর্মণ বলেন, ‘‘গবাদি পশুকে নদীর জলই খাওয়াতাম। কিন্তু তা খেয়ে গরুর নানা পেটের সমস্যা হচ্ছে।’

Advertisement

সুটুঙ্গাকে নির্মল করার দাবি জানিয়েছেন মাথাভাঙার গবেষক তথা প্রাবন্ধিক রাজর্ষি বিশ্বাসও। তিনি বলেন, ‘‘নদীর পাড়ে এখন আর বসার মতো পরিবেশও নেই।’’ নদীর ধারে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বয়স্ক নাগরিকদের জন্য পার্ক বানানো হয়। পার্কে বসলেও নদীর পাড় থেকে আবর্জনার দুর্গন্ধ আসে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি শনি মন্দিরের কাছে সুটুঙ্গা চরে শিশু উদ্যানের সামনেও আবর্জনা স্তূপ হয়ে থাকে বলে অভিযোগ।

পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান চন্দন দাস বলেন, ‘‘পুরসভার পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যেই নদী সাফ করা হয়। মানুষের সচেতনতার অভাবেই নোংরা-আবর্জনায় ভরেছে নদী। সকলকে সচেতন করতে কর্মসূচি নেওয়া হবে।’’ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘আমরা অস্থায়ী ভাবে জলঢাকা নদীর চরে ডাম্পিং গ্রাউন্ড করেছি। সেখানেই ফেলার কথা আবর্জনা। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি পুরসভার সাফাইকর্মীরা কোথায় আবর্জনা ফেলছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন