একসঙ্গে: সোনার মেয়ে স্বপ্না বর্মণ ও পদ্মশ্রী করিমুল হক। নিজস্ব চিত্র
উন্নয়নের প্রচারের মুখ হলেন এশিয়াডে সোনা জয়ী সোনার মেয়ে স্বপ্না বর্মন ও পদ্মশ্রী করিমুল হক। সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের তরফে পদ্মশ্রী করিমুল হক ও সোনা জয়ী স্বপ্না বর্মনকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করল জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ। জেলার ক্রীড়া ও কন্যাশ্রী প্রকল্পের প্রচারের মুখ স্বপ্না বর্মন এবং জনস্বাস্থ্য সহ জেলার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রচারের মুখ হয়েছেন করিমুল হক। জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ এ দিন এই দুই কৃতীকে উন্নয়নের প্রচারের মুখ হিসেবে ঘোষণা করেন।
এ দিন জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে স্বপ্না ও করিমুলকে এক লক্ষ টাকা করে অর্থ দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরের বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গন থেকে দুপুরে এই দুই কৃতীকে নিয়ে বর্ণময় শোভাযাত্রা বের করা হয়। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন স্বপ্না ও করিমুলকে নিয়ে হুডখোলা গাড়িতে শোভাযাত্রার পুরোভাগে ছিলেন। জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের প্রেক্ষাগৃহে এ দিন বসে সংবর্ধনা সভার আসর। এই আসরে উপস্থিত এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী ঘোষণা করেন, ‘‘আলিপুরদুয়ারের ডুয়ার্স উৎসবের মঞ্চ থেকে স্বপ্না বর্মন ও করিমুল হককে ডুয়ার্সরত্ন সম্মান দেওয়া হবে।’’ এ দিন এই মঞ্চ থেকে জলপাইগুড়ির পঞ্চায়েত ও পুরসভা এলাকার ১২টি দুর্গাপুজো কমিটির হাতে শারদ সম্মান তুলে দেওয়া হয়েছে। এসজেডিএ-র পক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে জেলা পরিষদের প্রেক্ষাগৃহের সংস্কার করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাগৃহেরও এ দিন সূচনা করেন সৌরভবাবু। সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, ‘‘বারোপেটিয়া উপপ্রধান কৃষ্ণ দাস ১২ বিঘা জমি দিচ্ছেন। ওই জমিতে স্বপ্না বর্মণের নামে আমরা ক্রীড়াঙ্গন তৈরি করব।’’ স্বপ্নাকে এই কাজে এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানানো হয়েছে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে। স্বপ্না বর্মন এদিন বলেন, ‘‘জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ যখনই ডাকবে আমি আসব।’’ পদ্মশ্রী করিমুল হক বলেন, ‘‘জেলাপরিষদের এই সম্মানে আমি খুশি। গরিব মানুষের পাশেই আমি থাকব।’’