পাশাপাশি: বাগানে জেলাশাসক নিখিল
উত্তরবঙ্গে এসে প্রশাসনিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, দ্রুত বন্ধ বাগান খুলতে হবে। সেই নির্দেশের চোদ্দ দিনের মাথায়, বুধবার খুলে গেল আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ার তুলসীপাড়া চা বাগান।
ডানকান গোষ্ঠীর হাতে থাকা এই বাগানটি বন্ধ ছিল ২০১৫ সালের জুলাই থেকে। বাগান খোলায় শ্রমিকরা উচ্ছসিত হলেও, দীর্ঘদিন পরিচর্যা না হওয়া বাগান শুরুতেই কতটা ভালভাবে চলবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সাড়ে ছশো একরের বাগানে কোনও কারখানা নেই। সে ক্ষেত্রে অন্য কোনও বাগানের কারখানায় পাতা নিয়ে যেতে হবে।
তুলসীপাড়া চা বাগানের পরিচালনার ভার নিয়েছে কলকাতার একটি চা গোষ্ঠী। এর আগে এই গোষ্ঠীই গেরগেন্ডা এবং হান্টাপাড়া চা বাগানের পরিচালনার ভার নিয়েছে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, তিনটি ক্ষেত্রেই ডানকানের সঙ্গে চুক্তি করে পরিচালনার ভার নেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, “রাজ্য সরকার দ্রুত বাগান খোলার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মতো পদক্ষেপ হয়েছে। বাকি বন্ধ বাগানগুলি দ্রুত খোলার চেষ্টা চলছে।’’
বাগানের দায়িত্ব নেওয়া নতুন গোষ্ঠীর তরফে সুরজিৎ বক্সি বলেন, “চা বাগানে এগারোশো পঞ্চাশ জন শ্রমিক রয়েছেন। দশ দিনের মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া থাকা চল্লিশ শতাংশ বোনাস দেওয়া হবে। নিয়মিত মজুরিও দেওয়া হবে। বাগানটি দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন বছর বন্ধ ছিল। চা বাগানের অধিকাংশ এলাকায় ঝোপঝাড় হয়েছে। এখানে কত চা পাতা উৎপাদন হয় তাও আমাদের জানা নেই। তবে আমরা আশাবাদী।’’