বাগানে পুষ্টি নিয়ে বৈঠক

এ দিন বৈঠকের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলার ধরণীপুর, রেডব্যাঙ্ক, সুরেন্দ্রনগর বন্ধ রয়েছে। মুজলাই চা বাগান তাড়াতাড়ি খোলার চেষ্টা হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে মানাবাড়ি চা বাগান। আলিপুরদুয়ারে ঢেকলাপাড়া, মধু, বান্দাপানির মতো বন্ধ বাগানগুলোতে শ্রমিক পরিবারে দুর্দশা রয়েছে। তাঁদের মধ্যে অপুষ্টির বিষয়টি লক্ষ করা গিয়েছে। জেলাশাসকরা এ দিন বৈঠকে ওই তথ্য দেন। শীঘ্রই তাঁদের বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৭ ১৪:০০
Share:

বন্ধ বাগানগুলোতে অপুষ্টির শিকার শ্রমিকেরা। ছবি: সংগৃহীত

জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে বন্ধ এবং অচল চা বাগানগুলোর একাংশে কিছু শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবারের লোকেরা অপুষ্টির শিকার হচ্ছেন। সরকারের তরফে অবশ্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

সোমবার চা উপদেষ্টা পর্ষদের বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী তথা পর্ষদের চেয়ারম্যান গৌতম দেব। দার্জিলিং এবং ওই দুই জেলার চা বাগানগুলোর পরিস্থিতি, তাদের উন্নয়নের বিষয়টি নিয়ে এ দিন শিলিগুড়িতে বৈঠক করেন তিনি। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাগানগুলোর একাংশে অপুষ্টির খবর মিলেছে। তা কাটাতে সরকারের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

এ দিন বৈঠকের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলার ধরণীপুর, রেডব্যাঙ্ক, সুরেন্দ্রনগর বন্ধ রয়েছে। মুজলাই চা বাগান তাড়াতাড়ি খোলার চেষ্টা হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে মানাবাড়ি চা বাগান। আলিপুরদুয়ারে ঢেকলাপাড়া, মধু, বান্দাপানির মতো বন্ধ বাগানগুলোতে শ্রমিক পরিবারে দুর্দশা রয়েছে। তাঁদের মধ্যে অপুষ্টির বিষয়টি লক্ষ করা গিয়েছে। জেলাশাসকরা এ দিন বৈঠকে ওই তথ্য দেন। শীঘ্রই তাঁদের বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে।

Advertisement

এই নিয়ে দু’দফা বৈঠক হল। ১৫ জুলাই উত্তরকন্যায় চা শ্রমিক সংগঠন, সংশ্লিষ্ট এলাকার বিধায়ক, সভাধিপতি, জেলাশাসকদের নিয়েও বৈঠক হবে। শিল্পপতি, চা বাগান মালিক, যে সমস্ত বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠীর চা বাগান রয়েছে, তাদের নিয়েও আলোচনা হবে।

রিপোর্ট সংগ্রহ করে চা উপদেষ্টা পর্ষদের পূর্ণাঙ্গ বৈঠক ডাকা হবে। টি-বোর্ড, প্রাক্তন মুখ্য সচিবের সঙ্গে আলোচনা করে উপদেষ্টা কমিটির তরফে বাগানগুলোর পরিস্থিতি রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে। চা বাগানগুলোর পুনরুজ্জীবনে কী করা হবে, সেই মতো সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। বাগানগুলোর দেখতে যে ‘টাস্কফোর্স’ করা হয়েছিল, প্রতি মাসে বৈঠক করে তারা রিপোর্ট দেবে।

এ দিন বৈঠকে প্রশাসনের কর্তারা ছাড়া, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর, বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি, খাদ্য সরবরাহ দফতর, স্বাস্থ্য, শ্রম দফতরের আধিকারিদের নিয়ে আলোচনা করা হয়। দার্জিলিং জেলায় পাহাড়ে ১২৩ টি এবং সমতলে ৪১ চা বাগান রয়েছে। পাহাড়ের আন্দোলনের জেরে সেখানকার পুরো তথ্য মেলেনি।

মন্ত্রী এ দিন দাবি করেছেন, বর্তমান সরকার চা বাগানের শ্রমিকদের স্বার্থে যা করছে তা নজিরবিহীন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন