নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলাবোধ এসব তৈরি করতে ইউনিফর্ম জরুরি। তাই শুধু পড়ুয়া নয়, শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও প্রয়োজন ইউনিফর্ম। এই ভাবনা থেকেই নিজেরা উদ্যোগী হয়ে শিক্ষকরা বেছে নিয়েছেন নিজেদের ইউনিফর্ম।
মঙ্গলবার শিক্ষক দিবসের দিন থেকে ওই পোশাকেই স্কুলে যাতায়াত শুরু করলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কোচবিহারের প্রত্যন্ত এলাকায় রাজারহাট বিদ্যাভবন হাইস্কুলের ওই ঘটনায় সাড়া পড়েছে গোটা শিক্ষক মহলে। শিক্ষকদের অনেকেই বলেছেন, “শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে এটা একটা বড় সিদ্ধান্ত। এই মানসিকতা কুর্নিশ করার মতো।’’ ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সজলকুমার দে বলেন, “আমাদের মধ্যে বহুদিন ধরেই এই ভাবনা ছিল। এবারে সফল হয়েছি।’’
স্কুলটিতে পড়ুয়ার সংখ্যা ৮০০। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন ২২ জন। স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্রছাত্রীদের জন্য সাদা-আকাশি রঙয়ের ইউনিফর্ম চালু হয়। এবার থেকে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের ইউনিফর্ম হল ঘিয়ে ও কালো রঙয়ের। শিক্ষকরা কালো রঙয়ের প্যান্ট ও ঘিয়া রঙয়ের জামা পরবেন। শিক্ষিকাদের জন্য ঠিক হয়েছে ঘিয়ে ও কমলা রঙয়ের শাড়ি। স্কুলের সহকারি শিক্ষক কৃষ্ণেন্দু পাল বলেন, “শৃঙ্খলাবোধ একটা বড় ব্যাপার। পড়ুয়াদের সেসব শেখাই আমরা। তাই নিজেদেরও ইউনিফর্ম দরকার।’’ শিক্ষকদের ইউনিফর্ম না থাকার বিষয়টি নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা প্রশ্ন তুললে এতদিন উত্তর দেওয়ার মতো কিছু থাকত না বলে জানান তিনি।
কোচবিহারের সাংসদ তথা তৃণমূলের শিক্ষা সেলের নেতা পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “শিক্ষকদের জন্য কোনও পোশাকবিধি সরকারি গাইডলাইনে নেই। মার্জিত পোশাক পরে শিক্ষক ও শিক্ষিকারা স্কুলে যেতে পারেন।’’ তবে ওই স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা নিজেরা যে ইউনিফর্ম চালু করেছেন তা শুভ উদ্যোগ বলেই মনে করছেন পার্থপ্রতিমবাবু।