TMC

সাহসী নয়, স্বচ্ছ নেতাই চায় টিম পিকে

কোচবিহারে ইতিমধ্যেই নতুন করে একাধিক অঞ্চল সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

Advertisement

নমিতেশ ঘোষ

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২০ ০৭:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

গত কয়েক দিন ধরে কি অঞ্চল সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে লড়াই তীব্র হতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসকদলে?

Advertisement

জেলা তৃণমূলের একাধিক সূত্র থেকে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। কোচবিহারে ইতিমধ্যেই নতুন করে একাধিক অঞ্চল সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তা নিয়েই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে, নিজেদের পছন্দ ও সুবিধে মতোই লোকদের ওই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। আসল পার্টি কর্মীদের জায়গা দেওয়া হচ্ছে না। তা নিয়েও অবশেষে আসরে নেমেছে টিম পিকে। শাসকদল সূত্রেই জানা গিয়েছে, অঞ্চলের নেতাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে তারা। সেই রিপোর্ট জমা পড়বে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। অবশ্য কেউই ওই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তৃণমূলের কোচবিহার জেলার কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘ওই বিষয়ে কিছু জানা নেই। কিছু জায়গায় নতুন করে কমিটি হচ্ছে। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতারাই দায়িত্বে থাকছেন।’’

দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির একাধিক সভাপতি এবং নেতার বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে। কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের একটি অঞ্চলের নেতা দলীয় কর্মী খুনে অভিযুক্ত। কিছু দিন পালিয়ে বেড়ানোর পর এখন আবার তিনি বহাল তবিয়তে ঘুরছেন। কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের এক নেতার বিরুদ্ধে অনেকেরই অভিযোগ, তিনি জমির বেআইনি কারবারের সঙ্গে যুক্ত। দিনহাটা-১ নম্বর ব্লকের এক অঞ্চল নেতার বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরার অভিযোগ হয়েছে বহুবার। কিছু জায়গায় দল তার ফলও পেয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে এমন বেশ কিছু জায়গায় ব্যাপক ‘লিড’ নিয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, তার পরেও ওই নেতাদের চেয়ার কেউ টলাতে পারেনি।

Advertisement

ইদানীং নাটাবাড়ির জিরানপুর এবং কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের চান্দামারিতে নতুন করে অঞ্চল সভাপতি এবং কমিটি ঘোষণা হয়। দুই জায়গাতেই তা নিয়ে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। জিরানপুরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ দু’পক্ষের আট জনকে গ্রেফতার করে। বিধায়করা অবশ্য দাবি করেছেন, অঞ্চলে অঞ্চলে দলকে শক্তিশালী করতেই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে। দলের অভ্যন্তরে একাধিক নেতা যুক্তি দিয়েছেন, এই সময়ে শুধু স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষকে সামনে রাখলেই যথেষ্ট নয়। ‘সাহসী’ নেতাদেরই এই সময় বেশি প্রয়োজন৷ তাঁদের যুক্তি, একাধিক এলাকা এখনও বিজেপির দখলে রয়েছে। তা দখল করতে হলে সেখানে কর্মসূচি নেওয়া প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে ‘সাহসী’ নেতা-কর্মীরাই সামনে থাকবেন। টিম পিকে অবশ্য স্বচ্ছতার উপরে জোর দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতার কথায়, ‘‘শুধু সাহস দিয়ে হবে না। স্বচ্ছতার প্রয়োজন। টিম পিকে ঠিকই করছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন