কিশোরীকে বাড়িতেই বারবার ধর্ষণের অভিযোগ

বাইরে নয়। নিজের বাড়িতে পরিবারের কয়েকজন সদস্যের হাতে বারবার ধর্ষিতা হওয়ার অভিযোগ নিয়ে স্কুলের শিক্ষিকার মাধ্যমে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে নবম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রী। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি এলাকার ঘটনা। শুক্রবার ওই কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে তার পরিবারের ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:০০
Share:

বাইরে নয়। নিজের বাড়িতে পরিবারের কয়েকজন সদস্যের হাতে বারবার ধর্ষিতা হওয়ার অভিযোগ নিয়ে স্কুলের শিক্ষিকার মাধ্যমে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে নবম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রী। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি এলাকার ঘটনা। শুক্রবার ওই কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে তার পরিবারের ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁদের আজ, শনিবার জলপাইগুড়ি দায়রা আদালতে তোলা হবে। নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন বিকেল নাগাদ ঘটনার কথা চাউর হতে স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে তো বটেই, রাজনৈতিক স্তরেও নিন্দার ঝড় উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, ওই নাবালিকার পরিবারের অভিযুক্তদের মানসিক সুস্থতা নিয়েও। ওই নাবালিকার স্কুলের এক শিক্ষিকা বলেন, “ভাবতে পারছি না এমনটা হতে পারে! বাড়িতে নিরাপদে থাকতে না পারলে মেয়েরা যাবে কোথায়। মেয়েটি বাড়িতে এসে কান্নায় ভেঙে পরে ঘটনার কথা জানালে চমকে উঠি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি মিথ্যে নয়। এর পরে স্কুলের অন্য শিক্ষকদের জানিয়ে মেয়েটিকে নিয়ে থানায় চলে যাই।”

Advertisement

কেন চমকে উঠবেন না শিক্ষিকা! নাবালিকার অভিযোগ, প্রায় দুবছর থেকে তাকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। মামা বাড়িতে পালিয়েও নিস্তার মেলেনি। দুবছর আগে প্রথম ওই ঘটনার পর থেকে রাত এলে সে ভয়ে থাকত। ভাবত কখন দিন হবে। কিন্তু দিনেও নিস্তার মেলেনি। বাড়ি ফাঁকা পেলেই ধর্ষণ করা হয়েছে। নাবালিকার অভিযোগ, বছরখানেক আগে সে তিন বার অন্তঃসত্ত্বা হয়। হাসপাতালে না নিয়ে জড়িবুটি খাইয়ে গোপনে বাড়িতে তাঁর গর্ভপাতের ব্যবস্থা করা হয়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে চার মাস আগে সে গ্রামে মামা বাড়িতে চলে যায়। সেখানেও পরিবারের এক সদস্য গিয়ে তাঁকে হাত পা বেঁধে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন