TMC

কাটমানির টাকা ফেরত দিতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল নেতা

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সরকারি প্রকল্পে পাকা ঘর তৈরির বাবদ টাকা ঢুকতে শুরু করেছে এলাকার গরিব মানুষদের অ্যাকাউন্টে। এর পরই কাটমানির দাবিতে বাড়ি বাড়ি আসতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২১ ২৩:৪৪
Share:

গ্রামের এই মহিলার কাছ থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। —নিজস্ব চিত্র।

স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে পড়ে কাটমানির টাকা ফেরত দিতে গিয়ে তাঁদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন আলিপুরদুয়ারের এক তৃণমূল নেতা। শুক্রবার ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার মাদারিহাট এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সরকারি প্রকল্পে পাকা ঘর তৈরির বাবদ টাকা ঢুকতে শুরু করেছে এলাকার গরিব মানুষদের অ্যাকাউন্টে। এর পরই কাটমানির দাবিতে বাড়ি বাড়ি আসতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতারা। এ নিয়ে মাদারিহাটের ইসলামাবাদ গ্রামের বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে প়ড়েন স্থানীয় তৃণমূল নেতা খাদেমুল ইসলাম। এলাকার সরকারি ঘরের উপভোক্তাদের অভিযোগ, সরকারি টাকা পাওয়ার পর থেকেই তাদের কাছে কাটমানি বাবদ ২০ হাজার টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তৃণমূলের ইসলামাবাদ মৌজার সভাপতি খাদেমুলে এবং তাঁর দলের কর্মীরা।

অভিযোগ, শুক্রবার সকালে খালেকুল ইসলাম নামে এক উপভোক্তার কাছ থেকে কাটমানি বাবদ ৯ হাজার টাকা নিয়ে যায় খাদেমুল ইসলামের অনুগামীরা। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। তবে খাদেমুলের দাবি, তিনি টাকা নেননি এবং কারও কাছ থেকে টাকা চাননি। এ নিয়ে শুক্রবার গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন খাদেমুল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গ্রামবাসীদের চাপে পড়ে কাটমানির টাকা ফেরত দিতে এসেছিলেন তিনি। তবে খাদেমুলের দাবি, দলের দু’জন কর্মীর টাকা নেওয়ার কথা জানতে পারেন তিনি। এর পর ওই কর্মীদের কাছ থেকে টাকা ফেরত নিয়ে তা উপভোক্তার হাতে তুলে দিয়েছেন।

Advertisement

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা কমিটি। গোটা বিষয়টি নিয়ে দলীয় স্তরে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন