দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়
Darjeeling

অফলাইন ক্লাস চালু হয়নি, মেয়াদ ফুরোচ্ছে উপাচার্যের

কাজে যোগ দেওয়ার পরে নতুন উপাচার্য শিক্ষা দফতরে চিঠি পাঠিয়ে বিস্তারিত সমস্যার কথা জানান।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩ ১০:১৬
Share:

দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়

গত ২৪ মার্চ দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন প্রেম পোদ্দার। আর সতেরো দিনের মতো রয়েছে অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে তাঁর তিন মাসের মেয়াদ ফুরোতে। তিনি যোগ দেওয়ার পরে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ভবনে ক্লাস শুরুর বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন পড়ুয়া থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে। কিন্তু বাস্তবে এখনও ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরু করা যায়নি। পরিকাঠামোর অভাবে সে ব্যবস্থা করতে পারেননি বলে দাবি উপাচার্যের। কেন না মংপুর আইটিআই কলেজের ভবনে অস্থায়ী ক্যাম্পাস চালু করা হলেও, পড়ুয়া বা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের থাকার কোনও ব্যবস্থা সেখানে নেই। তাই বিভিন্ন কলেজের যে সমস্ত শিক্ষকেরা অন লাইনে পড়াচ্ছেন, তাঁদের কারও পক্ষেই প্রতিদিন সেখানে গিয়ে পড়ানো সম্ভব নয়। পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা। তবে নানা ভাবে ‘অফলাইন’ ক্লাস চালুর চেষ্টা করছেন বলে জানান অস্থায়ী উপাচার্য।

Advertisement

ইতিমধ্যে পরিকাঠামোর সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরে সেমিনারের আয়োজন করেছেন। সমস্যা এবং সমাধানের পথ খুঁজতে উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গেও দেখা করতে চান তিনি। সব ঠিক থাকলে, আগামী সপ্তাহে কলকাতায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। উপাচার্য বলেন, ‘‘পরিকাঠামোর সমস্যা রয়েইছে। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে নানা ভাবে। উচ্চ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও সমস্যা নিয়েকথা বলব।’’

কাজে যোগ দেওয়ার পরে নতুন উপাচার্য শিক্ষা দফতরে চিঠি পাঠিয়ে বিস্তারিত সমস্যার কথা জানান। কার্শিয়াঙের ডাউহিলে নির্মীয়মাণ প্রেসিডেন্সি কলেজের ভবনে অস্থায়ী ভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শুরু করার জন্য রাজ্যকে প্রস্তাবও দেন তিনি। দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস তৈরির জন্য যোগীখোলার কাছে যে জায়গা সরকার চিহ্নিত করেছে। সেখানে সীমানা-প্রাচীর দেওয়া ছাড়া, আর কোনও কাজ হয়নি। তা-ও টাকা না মেলায়, সীমানা-প্রাচীর দেওয়ার কাজও একাংশে অসমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে।

Advertisement

২০২১ সাল থেকে পড়ুয়ারা ভর্তি হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। শতাধিক পড়ুয়াকে নিয়ে পাঁচটি বিষয়ে পড়াশোনা শুরু হয়। গত বছর দ্বিতীয় ব্যাচের পড়ুয়ারাও ভর্তি হন। করোনা-পরিস্থিতিতে অন লাইনে ক্লাস শুরু হয়। এখনও পরিকাঠামোর অভাবে সে ভাবেই চলছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং অন্য আধিকারিরকরা অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে এই বিশবিদ্যালয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। গত ২৪ মার্চ অস্থায়ী ভাবে তিন মাসের জন্য আলাদা উপাচার্য নিয়োগ হলেও, আর কোনও কর্মী আধিকারিক নিয়োগ হয়নি। আগামী অগস্টে প্রথম ব্যাচের পড়ুয়াদের চূড়ান্ত শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা। অথচ, এখনও ক্লাসে এসে পড়াশোনা করার সুযোগ পেলেন না তাঁরা। তাতে পড়ুয়া থেকে অভিভাবকেরা সকলেই হতাশ। পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, ‘‘ক্লাসে গিয়ে পড়াশোনা এবং পরীক্ষার ব্যবস্থা হলে ভাল হত। না হলে খামতি থেকে যাবে। আমরা এখান থেকে পাশ করে বেরোলে আমাদের পড়াশোনার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন