north bengal university

পদ থেকে সরিয়ে ‘ছুটি’তে পাঠানো হল অভিযুক্ত শিক্ষককে

বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আইসিসি’-র চেয়ারপার্সন তথা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান রঞ্জিতা চক্রবর্তী এ দিন বিকেলে তদন্ত-প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তিনি প্রাথমিক ভাবে রেজিস্ট্রার এবং ডিন-কে প্রয়োজনীয় তথ্য জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:২৩
Share:

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভে ছাত্রছাত্রীরা। ছবি: স্বরূপ সরকার।

ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে উদ্ভিদবিদ্যার বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে সরানো হল অভিযুক্ত শিক্ষককে। বুধবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে তা জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে বাধ্যতামূলক ছুটিতেও পাঠিয়েছেন। ‘ইন্টারনাল কমপ্লেন্টস কমিটি’ (আইসিসি)-র রিপোর্ট না মেলা পর্যন্ত ছুটিতে থাকবেন তিনি। এ দিন তদন্ত প্রক্রিয়াও শুরু করেছে আইসিসি। যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগে ক্লাস করেননি পড়ুয়ারা। প্ল্যাকার্ড হাতে বিভাগের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেছেন।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট বিভাগের রিসার্চ স্কলার এবং পড়ুয়াদের তরফে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে স্মারকলিপি দিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চার দফা দাবি জানানো হয়েছে। দাবি— অভিযুক্তকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে সরানো, বরখাস্ত করা, বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পদ থেকে সরানো এবং পিএইচ ডি ডিগ্রি বাতিল করা। স্মারকলিপির প্রতিলিপি উপাচার্য, ডিন-সহ বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ‘‘অভিযুক্তকে বরখাস্ত করা এবং ডিগ্রি কেড়ে নেওয়া না হলে, আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’’

এ দিন অভিযুক্ত শিক্ষককে বার বার ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি। উত্তর মেলেনি মোবাইল ফোনে পাঠানো মেসেজেরও। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বপন রক্ষিত বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।’’ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে তথ্যপ্রমাণ মিললে, সে মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার আগে, বরখাস্ত করার ব্যাপার নেই।

Advertisement

অভিযোগকারী ছাত্রীর গবেষণার ‘গাইড’ ছিলেন অভিযুক্ত বিভাগীয় প্রধান। ওই ছাত্রী ‘গাইড’ বদলের আবেদনও করেন। তা নিয়ে ডিন সুভাষচন্দ্র রায় তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। ডিন জানান, গবেষণার ‘গাইড’ হিসাবে ওই ছাত্রী কাকে চান, তা জানাতে বলা হয়েছে এবং ‘বোর্ড রিসার্চ স্টাডিজ়’-এর বৈঠকে তা
চূড়ান্ত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আইসিসি’-র চেয়ারপার্সন তথা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান রঞ্জিতা চক্রবর্তী এ দিন বিকেলে তদন্ত-প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তিনি প্রাথমিক ভাবে রেজিস্ট্রার এবং ডিন-কে প্রয়োজনীয় তথ্য জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন