কিসান কার্ডে পশুপালন, মৎস্যচাষও

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারই প্রথম কিসান ক্রেডিট কার্ডে পশুপালন, মৎস্যচাষকেও যুক্ত করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মালদহ শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:২২
Share:

প্রতীকী ছবি।

কৃষকদের সুবিধায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঢালাও ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নিল প্রশাসন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মার্চ মাসের মধ্যেই মালদহে ২ লক্ষ ২০ হাজার কৃষককে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫১ হাজার ২৪১টি কৃষক ঋণ পেয়েও গিয়েছেন।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারই প্রথম কিসান ক্রেডিট কার্ডে পশুপালন, মৎস্যচাষকেও যুক্ত করা হচ্ছে। ফলে পশুপালক এবং মৎস্যচাষিরাও ওই কার্ডের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে পারবেন।

তবে এক মাসের মধ্যে দেড় লক্ষ মানুষকে ঋণের সুবিধা দেওয়া নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। মালদহের লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সুশান্ত হালদার বলেন, ‘‘কৃষিঋণ নিয়ে চাষিদের ঘরে পৌঁছতে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রামে গিয়ে প্রচারের পাশাপাশি ব্লক অফিস, কৃষি দফতর, সরকারি মেলাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কৃষকেরা ব্যাঙ্কমুখী হলে চাষের জন্য তাঁদের বাইরে থেকে ঋণ নিতে হবে না। ফলে বাড়তি সুদও গুনতে হবে না।’’ তিনি জানিয়েছেন, চাষিদের সুবিধায় ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুদের হার মাত্র চার শতাংশ করা হয়েছে।

Advertisement

এ দিন দুপুরে মালদহ জেলা প্রশাসনিক ভবনে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রশাসনের কর্তারা। সেখানে ছিলেন নাবার্ডের কর্তা সতীশকুমার সিংহ, মালদহ জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেনও। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলায় ৩ লক্ষ ৯২ হাজার ৬২১ জন চাষির কিসান ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। তার মধ্যে এ বার ২ লক্ষ ২৪১ জনকে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। মোট ১৭৯ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে। কৃষকেরা জমির একর প্রতি ঋণ পাবেন। একই সঙ্গে জমির ফসলের উপরে নির্ভর করবে ঋণের পরিমাণ। ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে চার শতাংশ সুদ দিতে হবে। ঋণের আবেদনের পরে ১৪ দিনের মধ্যেই উপভোক্তারা টাকা পেয়ে যাবেন।

প্রশাসনিক সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, কিসান ক্রেডিট কার্ডে এ বার পশুপালক, মৎস্যচাষিরাও যুক্ত হবেন। তাঁরাও ঋণ পাবেন। মালদহ জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেন বলেন, ‘‘মহাজনদের কাছে ঋণ নিতে হত চাষিদের। সেখানে সুদের হারও খুব বেশি থাকে। ফলে চাষিদের নানা সমস্যার মুখে পড়তে হত। ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঋণ নিলে চাষিদের চড়া সুদ দিতে হবে না। একই সঙ্গে প্রতারণার মুখেও পড়তে হবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন