কালদিঘি: বোটিংও করা যাবে। নিজস্ব চিত্র
গঙ্গারামপুরের কালদিঘিতে ওয়াটার পার্ক তৈরির উদ্যোগ নিল পুরসভা। জেলায় এই প্রথম দিঘি সংস্কার করে কৃত্রিম সমুদ্র স্নানের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে বলে পুরপ্রধান প্রসেনজিৎ মিত্র জানিয়েছেন। তিনি জানান, ওয়াটার পার্ক তৈরিতে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে। দিঘিতে বোটিংয়ের ব্যবস্থাও থাকবে। সেই সঙ্গে কালদিঘি পার্কটিও ঢেলে সাজানো হবে। এ খাতে আরও ২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
বাম আমলে জেলাপরিষদের উদ্যোগে গঙ্গারামপুরের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন আমলের কালদিঘি জলাশয় ও জঙ্গলকে ঘিরে পার্ক ও পিকনিক স্পট গড়ে তোলা হয়েছিল। প্রায় ৪৭ একর দীর্ঘ ওই জলাশয়ে শীতের মরসুমে নানা পরিযায়ী পাখিদের ভিড়ে মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের টানে পর্যটকেরাও ভিড় করতেন। কিন্তু রক্ষাণাবেক্ষণের অভাবে কালদিঘি উদ্যান তার জৌলুস হারিয়ে ফেলে। তবে সংখ্যায় কম হলেও শীতে পরিযায়ী পাখিদের যাতায়াত এখনও অব্যাহত। গত বছর গঙ্গারামপুর পুরসভায় তৃণমূলের বোর্ড ক্ষমতায় আসতেই কালদিঘিকে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
গরমের সময় জেলার মানুষ কৃত্রিম সমুদ্র স্নান উপভোগ করতে পাশের জেলা মালদহের ওয়াটার পার্কে গিয়ে ভিড় করেন। তবে দূরত্ব ও খরচের জন্য ইচ্ছে থাকলেও অনেকের পক্ষে প্রায় ১১০ কিলোমিটার দূরের ওই ওয়াটারপার্কে যাওয়া সম্ভব হয় না। তাই এ বার গঙ্গারামপুরেই মনোরঞ্জনের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে ওয়াটারপার্ক। সেই সঙ্গে পুরনো উদ্যানটিকেও ঢেলে সাজতে একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়েছে পুরসভা।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, গ্রিনসিটি প্রকল্পে ওয়াটারপার্ক, বোটিংয়ের ব্যবস্থা এবং সংলগ্ন উদ্যানে বনসৃজন, টয়ট্রেন স্থাপন-সহ শিশুদের খেলাধুলো ও মনোরঞ্জনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে মোট ৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে পর্যটকদেরও কালদিঘিমুখী করা সম্ভব হবে বলে পুর প্রধান আশা করেন।