ডাকঘরে টাকাই বাড়ন্ত তুফানগঞ্জে

নোট বাতিলের পর কেটে গিয়েছে সাড়ে চার মাসের বেশি সময়। এতদিনেও স্বাভাবিক হল না তুফানগঞ্জ ডাকঘরের পরিষেবা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তুফানগঞ্জ শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৭ ০১:৫৩
Share:

নোট বাতিলের পর কেটে গিয়েছে সাড়ে চার মাসের বেশি সময়। এতদিনেও স্বাভাবিক হল না তুফানগঞ্জ ডাকঘরের পরিষেবা।

Advertisement

অভিযোগ, অনেক সময়েই তুফানগঞ্জ ডাকঘরে এসে নিজেদের জমানো টাকা তুলতে পারছেন না গ্রাহকরা।

বুধবারও ওই ডাকঘরের বেশিরভাগ গ্রাহককে টাকা তুলতে এসে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। ওই ঘটনায় ডাকঘর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ডাকবিভাগের কোচবিহারের সুপারিন্টেন্ডেন্ট হরেকৃষ্ণ সাহা অবশ্য বলেন, “ব্যাঙ্ক থেকে চাহিদা মত বরাদ্দ মিলছে না। তার জেরে সমস্যা হচ্ছে।’’

Advertisement

ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের একাংশের অভিযোগ, নভেম্বরের শুরুতে পাঁচশো ও এক হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা হয়। তারপর থেকেই সমস্যার সূত্রপাত হয়। এক মাসের বেশি সময় টাকা তুলতে চরম হয়রানি পোহাতে হয়। মাঝে কিছুদিন টাকা দেওয়া হলেও সম্প্রতি ফের সমস্যা শুরু হয়েছে।

আগাম কোনও ঘোষণা না করেই ডাকঘর কর্তৃপক্ষ টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে। ফলে বহু গ্রাহককে ডাকঘরে এসেও খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। বুধবারেও ওই ডাকঘরে টাকা তুলতে এসে গ্রাহকদের অনেকে খালি হাতে ফিরেছেন। কবে ফের টাকা পাওয়া যাবে সে ব্যাপারেও স্পষ্ট উত্তর মিলছে না বলে গ্রাহকদের ক্ষোভ আরও বেড়েছে। তুফানগঞ্জের বাসিন্দা এক গ্রাহক বিমল সরকার বলেন, “টাকা তুলতে এসেছিলাম। কর্মীরা জানান টাকা নেই। কবে মিলবে তা স্পষ্ট নয়। খালি হাতেই ফিরতে হল।”

বাসিন্দাদের ওই সমস্যা নিয়ে সরব হয়েছেন কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, “নোটবন্দির জেরে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ যে এখনও মেটেনি তা জেলার ডাকঘর গ্রাহকদের এমন ভোগান্তিতেই স্পষ্ট। লোকসভায় বিষয়টি তুলব।” ওই ডাকঘর কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি,

মঙ্গলবারেও গ্রাহকেরা প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা তুলেছেন। এক ডাকঘর কর্মীর কথায়, ‘‘সপ্তাহে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার চাহিদা রয়েছে। বরাদ্দ কম। দ্রুত টাকা ফুরিয়ে যাচ্ছে।’’ জেলার এক ডাক কর্তা জানান, কোচবিহার প্রধান ডাকঘরের মাধ্যমে তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙা সহ ১৮টি ডাকঘরে টাকা সরবরাহ করা হয়। ব্যাঙ্ক যেমন বরাদ্দ দেয় সেটাই ভাগ করে বন্টন করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন