স্বপ্নের আলো। বালুরঘাটে ফানুস উড়িয়ে উৎসব উদযাপন। ছবি: অমিত মোহান্ত।
ফানুসে মাতলো বালুরঘাট। কচিকাঁচা থেকে বড়রা সবাই সামিল তাতে। কেউ রাস্তায়, কেউ বাড়ির ছাদ, কেউবা আত্রেয়ী নদীর সেতুর উপর থেকে একের পর এক ফানুস জ্বালিয়ে দীপাবলী উৎসবে মেতে ওঠেন। সন্ধে হতেই পর পর উড়ন্ত প্রদীপে আকাশ ছেয়ে যায়। গোলাপি সুবজ হলুদ পাতলা কাগজে তৈরি চৌকোনা নানা রঙের এক একটি ফানুসের দাম গত বছর ছিল ৩০-৩৫ টাকা। এবার তা কমে ২০ টাকায় নেমে যাওয়ায় তা দেদার বিক্রি হয়েছে বলে দোকানিরাও খুশি। উড়ানের পর বহু দূর পর্যন্ত আকাশে ভেসে যেতে দেখে কচিকাঁচারা আনন্দে মেতে ওঠে।
শনিবার কালীপুজোর রাতের পর রবিবারও বালুরঘাটের আকাশে ভেসে বেড়িয়েছে ফানুস। শহর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটারের মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্ত। রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা, শিক্ষক সৈকত দাসের মতো অঞ্জন সাহা, নয়ন কুন্ডুরা তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে ফানুস উড়িয়ে উৎসবের আনন্দ উপভোগ করেন। মোমের চাকতিতে আগুন ধরানোর পর ফানুস ফুলে উঠতেই কচিকাঁচাদের কাছে তা যেন কোনও জীবন্ত হয়ে ওঠে। ভেতরের হাওয়া গরম হয়ে একেবারে টানটান হয়ে ওঠে কাগজের চৌকোটি। উত্তরের বাতাসের টানে ফানুস যতই পূর্ব-দক্ষিণ দিকের বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে ছুটতে থাকে, ততই হাততালি দিয়ে উল্লাস বাড়তে থাকে কচিকাঁচাদের।
এখনও পর্যন্ত শব্দবাজির দৌরাত্ম্য নিয়ে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ হয়নি বলে বালুরঘাট থানার আইসি সঞ্জয় ঘোষ জানান। তিনি বলেন, ‘‘কালীপুজোর আগে প্রতিবারের মতো এবারেও দোকানগুলিতে হানা দিয়ে লক্ষাধিক টাকার শব্দবাজি আটক করা হয়েছে। ফলে দোকানিরা নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রির বদলে ফানুস বিক্রির দিকে নজর দেওয়ায় পরিস্থিতি বদল হচ্ছে।’’