বিশ্বজিৎ রায়। নিজস্ব চিত্র
লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীকে হেলায় হারিয়ে জয়ের গৌরব অর্জন করতে কোনও সমস্যা হয় না তাঁর। কিন্তু অভাবের কাছে বারেবারেই পরাজিত হচ্ছেন সফল উষু খেলোয়াড় বিশ্বজিৎ রায়।
২০১০ সাল থেকে মেখলিগঞ্জ মহকুমা উষু অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে খেলছে বিশ্বজিৎ। এর মধ্যেই তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ন’টি স্বর্ণ পদক সাতটি রুপোর পদক ও একাধিক ব্রোঞ্জ পদক। এ ছাড়াও প্রচুর পুরস্কার আছেই। তবুও অভাবের কারণে জাতীয়স্তরের প্রতিযোগিতায় আগে খেলতে যেতে পারেননি তিনি। উনিশ বছরের বিশ্বজিতের বাড়ি মেখলিগঞ্জ ব্লকের কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ফুলকাডাবরি গ্রামে। বাবা কৃষিকাজ করেন। আর তার উপর নির্ভর করে চলছে পাঁচ জনের সংসার। সে কারণে বড় ছেলের উষু খেলতে যে বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম কিনতে হয় ও খেলতে যাওয়ার যা খরচ হয়, তা চালাতে পারছেন না তিনি।
বিশ্বজিৎ জানান, তিনি উষুর নানকোয়ান, নানদাও ও নানগুন স্টাইলে সাবলীল। সম্প্রতি প্রথম নর্থ বেঙ্গল উষু চাম্পিয়নশিপে তিনটি বিভাগেই স্বর্ণ পদক পান তিনি। গত বছর কোচবিহার জেলা পুলিশের খেল দিবসে বিশ্বজিৎ প্রথম হয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা পুরস্কার পান।
খেলার পাশাপাশি মেখলিগঞ্জ কলেজে প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছেন বিশ্বজিৎ। সংসারে অভাব ঘোচাতে মাঝেমধ্যেই অন্যের টোটো চালান তিনি। অভাবকে জয় তো তাঁকে করতেই হবে। মেখলিগঞ্জ মহকুমা উষু অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিষ্ণু দাস বলেন, ‘‘বিশ্বজিৎ ভাল উষু খেলোয়াড়। সরকারি সাহায্য পেলে ও অনেকদূর যাবে।’’
এ মাসের ১০ থেকে ১৫ পর্যন্ত মেঘালয়ের শিলং-এ অনুষ্ঠিত ২৭তম সিনিয়র ন্যাশনাল উষু চাম্পিয়নশিপে প্রথমবার বিশ্বজিৎ অংশগ্রহণ করছেন। সেখানে ভাল কিছু করে, নিজের খেলা আর ভবিষ্যৎকে বাঁচাতে এখন মরিয়া বিশ্বজিৎ।