ফের হুমকি চিঠি মালদহের স্কুলে

হবিবপুরের পর এ বার পুরাতন মালদহের মাধাইপুর হাই স্কুলে এল হুমকি চিঠি। বৃহস্পতিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। জেলায় একের পর এক স্কুলে হুমকি দিয়ে চিঠির ঘটনায় আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। একই সঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে উঠছে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৬ ০২:৪৯
Share:

হবিবপুরের পর এ বার পুরাতন মালদহের মাধাইপুর হাই স্কুলে এল হুমকি চিঠি। বৃহস্পতিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। জেলায় একের পর এক স্কুলে হুমকি দিয়ে চিঠির ঘটনায় আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। একই সঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে উঠছে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ।

Advertisement

অভিযোগ, মার্চ মাসের শুরু থেকেই হবিবপুরের একাধিক স্কুলে হুমকি চিঠি যাচ্ছে ডাকযোগে। সব জানানো হলেও পুলিশ কিনারা করতে পারছে না। মাধাইপুর হাই স্কুলের শিক্ষক সুশান্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘একের পর এক স্কুলে চিঠি দিয়ে ২০ লক্ষ টাকা চেয়ে হুমকির ঘটনা ঘটছিল। ভাবতে পারেনি আমাদেরও এর মুখে পড়তে হবে।’’ পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি। ঘটনার পেছনে কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে।’’

হবিবপুর থানার একের পর এক স্কুলে হুমকি দিয়ে চিঠি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হবিবপুর থানার এলাকার মোট পাঁচটি স্কুলে এমন হুমকির চিঠি যায়। প্রথম চিঠি যায় আকতৈল পঞ্চায়েতের কেন্দ্রপুকুর হাই স্কুল ও বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের দাল্লা হাই স্কুলে। তার রেষ কাটতে না কাটতেই ফের একই থানা এলাকার সামু হেমব্রম ও জগজ্জীবনপুর হাই স্কুলেও সেই ডাক যোগে স্কুল কর্তৃপক্ষকে হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়। তারপরে আইহো উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়েও একই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। কোনও ঘটনারই কিনারা করতে পারেনি।

Advertisement

বুধবার দুপুরে একই কায়দায় চিঠি যায় পুরাতন মালদহের সাহাপুরের মাধাইপুর হাই স্কুলে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি চিঠিই একই ধাঁচে লেখা রয়েছে। সব স্কুলেই ২০ লক্ষ টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় একই ভাষায় হুমকি দেওয়া হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষদের। প্রেরকের নাম হিসেবে দেওয়া রয়েছে ‘আমরা ক জন’। সঙ্গে একই ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে সব স্কুলেই। অভিযোগ, ফোন নম্বর পাওয়ার পরেও কেন পুলিশ কিছু করতে পারছে না। স্কুল কর্তৃপক্ষেরা জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না। এই বিষয়ে মালদহের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক আশিস চৌধুরী বলেন, ‘‘এমন ঘটনায় পঠন পাঠন ব্যাহত হচ্ছে। পুলিশকে দ্রুত পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন