জুয়ার প্রতিবাদ করে আক্রান্ত

বালুরঘাটে ছাত্রীকে মার, খুনের হুমকি

পড়ার ঘরের পাশেই এক প্রতিবেশীর ঘর। সেখানে রোজ জুয়া ও মদের আসর বসে বলে অভিযোগ। এমএ পাঠরতা এক ছাত্রী তার প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত হন তিনি ও তাঁর পরিবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০১:৪১
Share:

পড়ার ঘরের পাশেই এক প্রতিবেশীর ঘর। সেখানে রোজ জুয়া ও মদের আসর বসে বলে অভিযোগ। এমএ পাঠরতা এক ছাত্রী তার প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত হন তিনি ও তাঁর পরিবার।

Advertisement

বুধবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের হালদার পাড়া এলাকার সেই ঘটনার পরে ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুষ্কৃতীরা ওই ছাত্রীর পরিবারকে হুমকি দিতে থাকায় তাঁরা ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন। আতঙ্কে সাংবাদিকদের কাছে দুষ্কৃতীদের নামও বলতে চাইছেন না। অভিযুক্ত প্রতিবেশী গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁর এক আত্মীয় হামলা ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ওই ছাত্রীর পরিবারের দাবি, ওই প্রতিবেশীর নেতৃত্বেই একদল দুষ্কৃতী তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়ে ওই তরুণী ও তাঁর মা এবং দাদাকে মারধোর করে। খুনের হুমকিও দিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। বালুরঘাট থানার পুলিশ গেলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। পরে আক্রান্ত পরিবারের পক্ষ থেকে মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে বালুরঘাট মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। আইসি সঞ্জয় ঘোষ জানান, অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে। জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। অভিযুক্তদের কাউকে ছাড়া হবে না।’’ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার পিন্টু হালদারকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

Advertisement

এ দিন আক্রান্ত বিধবা বলেন, এম এ পাঠরতা তাঁর মেয়ের সামনেই পরীক্ষা। তিনি বলেন, ‘‘দিনরাত ঘরের পাশে মদ ও জুয়ার ঠেকে হট্টগোলের বিরুদ্ধে মেয়ে বুধবার প্রতিবাদ করে। তারপরেই দুষ্কতীরা চড়াও হয়ে আমাদের মারধর করে শাসিয়ে যাচ্ছে। পুলিশকে জানিয়েছি। কিন্তু কেউ ধরা না পড়ায় আমরা আতঙ্কিত।’’ ছাত্রীর দাদা চাকরি সূত্রে মালদহে থাকেন। পুজোতে বাড়ি এসেছেন। এমনিতে বাড়িতে বিধবা মা এবং ওই ছাত্রী দু’জনেই থাকেন।

দীর্ঘ দিন ধরেই পাশের বাড়িতে মদ ও জুয়ার আসর বসত বলে অভিযোগ। ক্রমশ তা অসহ্য হয়ে পড়লে চলতি বছরের এপ্রিলে বালুরঘাট পুরসভার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়। থানাতেও ওই ঠেকের বিরুদ্ধে মৌখিক ভাবে তাঁরা নালিশ করেছিলেন। এরপর মদ ও জুয়ার ঠেকটি সাময়িক বন্ধ থাকলেও পুজোর আগে ফের শুরু হয়ে যায়। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, ‘‘সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মদ জুয়ার আসরে চিৎকার গালাগালির জেরে পড়াশোনা করতে চরম সমস্যা হচ্ছে বলে প্রতিবাদ করেছিলাম। তারপরেই ওরা বাড়িতে ঢুকে মা, দাদা ও আমাকে চড় ঘুসি মেরে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন