—প্রতীকী চিত্র।
ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে কোচবিহারে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহারে চলতি মরসুমে জেলার ২০ জন বাসিন্দার রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। তার মধ্যে গত সপ্তাহে নতুন করে আক্রান্ত হন ৩ জন। সকলেই অবশ্য চিকিৎসার পর সুস্থ হয়েছেন। তারপরেও উদ্বেগ কমছে না স্বাস্থ্য কর্তাদের। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ডেঙ্গির জীবাণুবাহী মশার উপদ্রব নিয়ে এলাকা ভিত্তিক সমীক্ষা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে হলদিবাড়িতে পতঙ্গবিদ্দের সমীক্ষায় ডেঙ্গির জীবানুবাহী এডিস ইজিপ্টাই মশার লার্ভা মেলায় তাঁদের চিন্তা আরও বেড়েছে।
কোচবিহারের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন বলেন, “আক্রান্তরা সবাই জেলার বা রাজ্যের বাইরে থেকে সংক্রমণ নিয়ে ফিরেছেন। কিন্তু আমরা কোনও ঝুঁকি নিচ্ছি না। তাই সমীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” দিনহাটার এসিএমওএইচ পরিতোষ মণ্ডল জানান, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সচেতনতা বাড়াতে জোর দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসে জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪ জন। অগস্টের পর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জন। শুধু হলদিবাড়িতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ জন। কোচবিহার ১ ব্লকে ৩ জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। দিনহাটাতেও আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। আক্রান্ত বাসিন্দাদের বাড়ি ও লাগোয়া এলাকা জুড়ে জলা জায়গায় টেনিফস ব্যাকটেরিয়া ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এজন্য স্বাস্থ্য দফতরে চিঠিও পাঠান হয়েছে। আগামী সপ্তাহে কোচবিহার সদরেও ডেঙ্গির জীবাণুবাহী মশার সংক্রমণ রয়েছে কি না, তা যাচাই করতে পতঙ্গবিদরা সমীক্ষায় নামবেন।
কিন্তু টেনিফস ব্যবহারে কেন এমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? এক স্বাস্থ্য কর্তা জানিয়েছেন, ফগিং মেশিনের ব্যবহারে পরিণত মশার মৃত্যু হয়। বদ্ধ জলে মশার ডিম মারতে তা কার্যকরী হয় না। তাই ওই ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হবে। এ বার ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মাথাভাঙায় এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়।