গন্ডারের খড়্গ, হাতির দাঁত-সহ ধৃত তিন

শনিবার রাতে নাগরাকাটার শুল্কাপাড়ার ঘটনা। বনকর্মীদের দাবি, ধৃতরা জানিয়েছে এগুলো পাচারের জন্য অসম থেকে নেপালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:০৪
Share:

উদ্ধার হওয়া দেহাংশ।

ভুটানের তিন নাগরিকের কাছ থেকে হাতির দাঁতের একটি টুকরো এবং গন্ডারের খড়্গ উদ্ধার করল বন দফতর। শনিবার রাতে নাগরাকাটার শুল্কাপাড়ার ঘটনা। বনকর্মীদের দাবি, ধৃতরা জানিয়েছে এগুলো পাচারের জন্য অসম থেকে নেপালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

Advertisement

শুল্কাপাড়ার একটি ধাবায় ছদ্মবেশে ছিলেন বন দফতরের অফিসার-কর্মীরা। প্রথমে টোটোয় চেপে এক এক করে পাচারকারীরা ধাবায় আসেন। ধাবার মালিক সেজে থাকা রেঞ্জ অফিসারের সঙ্গে পাচারকারীদের দরদাম চলতে থাকে। এরপর সন্ধেয় ভুটান নম্বরের একটি গাড়ি নিয়ে পাচারকারীরা ধাবায় আসলে সকলেই গ্রেফতার হন। রবিবার ধৃত সোনম দর্জি, কিংজিং ওয়াংদি ও সোনম দর্জিকে জলপাইগুড়ি জেলা ও দায়রা আদালত পাঁচ দিনের জন্য বন দফতরের হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।

কদিন আগে গরুমারায় একটি গন্ডার খুন করে খড়্গ কেটে নেওয়া হয়েছিল। উদ্ধার হওয়ার খড়্গটি সেটিই কি না তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি বন দফতর। ২৫ ডিসেম্বর গরুমারার যে এলাকায় গন্ডারের খড়্গহীন দেহ মিলেছিল সেখান থেকে সহজেই ভুটানে যাওয়া যায়। ফলে খুন হওয়া গন্ডারের খড়্গ ভুটানে গিয়ে সেখান থেকে নেপালে পাচার হচ্ছে কি না সেই প্রশ্নও ভাবাচ্ছে বনকর্তাদের। বৈকুণ্ঠপুর বন বিভাগের বেলাকোবার রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত বলেন, “গরুমারার গন্ডার খুনের পরে আমরা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু করেছি। উদ্ধার হওয়া খড়্গটি গরুমারার গন্ডারের কি না জানা যায়নি। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, ধৃতেরা অসমের জঙ্গল থেকে এই হাতির দাঁত ও গন্ডারের খড়্গ নিয়ে নেপালের কাঠমান্ডুতে পাচারের ছক কষেছিল।’’

Advertisement

বন দফতর জানিয়েছে, ধৃতদের থেকে ১০৩০ গ্রাম ওজনের গন্ডারের খড়্গ, ৫০০.৩০ গ্রাম ওজনের একটি হাতির দাঁত, একটি বড় ছুরি, তিনটি মোবাইল ফোন, বেশ কয়েকটি এটিএম কার্ড মিলেছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে পাসপোর্ট, ভিসা এবং একটি ভুটানের নম্বরের গাড়ি। ধৃতদের মধ্যে একজন ভুটানের একটি সরকারি স্কুলের গ্রন্থাগারিক বলেও জেনেছে বনবিভাগ। বাকিরা আমদানি-রফতানির ব্যবসা ও ঠিকাদারির সঙ্গে যুক্ত বলে জেরায় বনবিভাগ জানতে পেরেছে। ধৃতদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বলেও দাবি বনবিভাগের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন