এক ধাক্কায় প্রায় সাড়ে ৩ গুণ ভাড়া বাড়ল টয় ট্রেনের প্রথম শ্রেণির। তুলে দেওয়া হল দ্বিতীয় শ্রেণির কামরা। দার্জিলিং হিমালয়ান রেল সূত্রের খবর, নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং যে টয় ট্রেন যাতায়াত করে তার দ্বিতীয় শ্রেণির কামরা তুলে দেওয়া হবে। শুধু প্রথম শ্রেণি থাকবে। মাথা পিছু ভাড়া পড়বে ১২৮৫ টাকা। যা ছিল ৩৬০ টাকা। এনজেপি অথবা শিলিগুড়ি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে দার্জিলিং যেতে মাথা পিছু ভাড়া ছিল মাত্র ১২০ টাকা।
ভাড়া বাড়ানো হয়েছে জয় রাইডেরও। ডিজেল ইঞ্জিনের টয় ট্রেনের জয় রাইডে দার্জিলিং থেকে ঘুম যাতায়াতের ভাড়া বেড়ে হয়েছে ৮০০ টাকা। আগে ছিল ৬৩০ টাকা। স্টিম ইঞ্জিনের টয় ট্রেনে দার্জিলিং-ঘুম যাতায়াতের জন্য মাথা পিছু জয় রাইডের ভাড়া হয়েছে ১৩০০ টাকা। যা আগে ছিল ১১০০ টাকা।
দার্জিলিং থেকে এনজেপি যাত্রীবাহি ট্রেন এখন সপ্তাহে তিনদিন (মঙ্গল-বৃহস্পতি-শনি) করে দিনে তিনবার যাতায়াত করে। এনজেপি থেকে দার্জিলিং সপ্তাহে তিন দিন তিনবার যাতায়াত করে (সোম, বুধ ও শুক্র)। ওই সেকশনে দার্জিলিং থেকে কার্শিয়াং মাথা পিছু ভাড়া ২১০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৮০ টাকা। ডিএইচআরের এক মুখপাত্র জানান, ঐতিহ্যবাহি ট্রেনের আয় বাড়ানোর জন্যই ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফেব্রুয়ারি থেকেই ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। ডিএইচআরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম ডি ভুটিয়া বলেন, ‘‘২০১৫ সালে শেষবার টয় ট্রেনের ভাড়া বেড়েছে। তার পরে মুদ্রাস্ফীতিও হয়েছে। সব খেয়াল রেখেই ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
এক লাফে এতটা ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন ট্যুর অপারেটররা। উপরন্তু, আসন্ন গ্রীষ্মের পর্যটন মরসুমের জন্য যে ট্যুর অপারেটররা ব্যবস্থা করে ফেলেছেন, তাঁরা বেশি সমস্যায় পড়েছেন। কারণ, আগে থেকেই টিকিট কেটে রাখায় পুরানো হারে পর্যটকদের থেকে টাকা নিয়েছে সংস্থাগুলি। ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে একটু আলোচনা করা উচিত ছিল। এখন ভাড়া বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত টাকা আগের প্যাকেজে যোগ করতে সমস্যা হতে পারে।’’