Murder

ইটাহারের দম্পতি খুনে ধৃত চাকরি দেওয়ার নাম করে দালালি করেন, অভিযোগ তৃণমূলের

তৃণমূলের অভিযোগ, ধৃত কৃষ্ণকমল চাকরি দেওয়ার নাম করে বেকারদের কাছ থেকে টাকা নেন। তার পর আর চাকরি দেন না। বিজেপি বলছে, অভিযুক্ত তাদের দলের কেউ নন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইটাহার শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২১ ১৮:৪৪
Share:

কৃষ্ণকমল অধিকারী নিজস্ব চিত্র

মালদার গাজোলে দম্পতির দেহ উদ্ধার ঘটনায় এ বার রাজনীতির রং। বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজোলের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় দম্পতির ক্ষতবিক্ষত দেহ। মৃতদের নাম গৌতম সরকার (৩৫) এবং তাপসী সরকার (৩০)। দম্পতি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানার বাঙ্গার এলাকার বাসিন্দা। দম্পতিকে খুনের অভিযোগে ধৃত কৃষ্ণকমল অধিকারী নামে এক স্থানীয় বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে ইটাহার থানার পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ, ধৃত কৃষ্ণকমল অধিকারী চাকরি দেওয়ার নাম করে বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে টাকা নেন। তার পর আর চাকরি দেন না

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাজোলের বিদ‍্যাসাগর পল্লিতে পিনাকি রঞ্জন বোস নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। পিনাকি রঞ্জন বোস এই বাড়িতে থাকেন না। তিনি কলকাতায় থাকেন। এই বাড়ি কৃষ্ণ কমল অধিকারী ভাড়া নিয়েছিলেন কয়েক মাস আগে।

ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘‘কৃষ্ণকমল বিজেপি সমর্থক পরিবারের সদস্য। তিনি চাকরি দেওয়ার নাম করে দালালি করেন। ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে তাপসী সরকারকে স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। যদিও দীর্ঘদিন প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি সে। এরপর চাকরির করে দেওয়ার জন্য চাপ দিলে কৃষ্ণকমল প্রশিক্ষণের নাম করে তাপসী ও তাঁর স্বামী গৌতমকে বাড়ি থেকে নিয়ে যান শিলিগুড়ি যাওয়ার জন্য। সেই থেকেই ওই দম্পতির আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।’’ যদিও বিজেপির পাল্টা দাবি, কৃষ্ণকমল তাঁদের দলের কেউ নয়। এটা তৃণমূলের চক্রান্ত।

Advertisement

ধৃতের বিরুদ্ধে ৩৬৩, ৩৬৫, ৩০২ ও ২০১ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে ধৃতকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন