—ফাইল চিত্র।
পাখির চোখ ২০২১-এর বিধানসভা ভোট। শাসকদলের লক্ষ্য ক্ষমতায় টিকে থাকা। বিজেপির লক্ষ্য ক্ষমতা দখল।
এমন পরিস্থিতিতে একইসঙ্গে বিজেপি ও মিম-কে রুখতে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে মালদহে প্রচারে নামছে জেলা তৃণমূল সংখ্যালঘু সেল। পিছিয়ে নেই বিজেপিও। ক্ষমতা দখলের প্রস্তুতি শুরু করেছে তারাও। রবিবার তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের পাশাপাশি প্রস্তুতি সভা হল বিজেপিরও। সামসিতে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভায় হাজির ছিলেন জেলা সভাপতি মুশারফ হোসেন, কার্যকরী সভাপতি তথা জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেন ও সব ব্লকের নেতৃত্ব। হরিশ্চন্দ্রপুরে বিজেপির কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন জেলা সম্পাদক কিসান কেডিয়া, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক সভাপতি রূপেশ আগরওয়াল।
জেলা তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের অভিযোগ, বিজেপির নেতৃত্বে হিন্দু মৌলবাদ আর মিম-এর নেতৃত্বে মুসলিম মৌলবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে। ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলির ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাচ্ছে তারা। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ বিহারের ভোট। দলের হিন্দু ভোট যাতে বিজেপির দিকে না ঝোঁকে ও মুসলিম ভোট মিম-এর দিকে না ঝোঁকে সেটাই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য।
সংগঠনের জেলা সভাপতি মুশারফ হোসেন বলেন, ‘‘মিমের প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে না। কিন্তু ভোট কাটাকুটির অঙ্কে তৃণমূলের ক্ষতি হবে, লাভ হবে বিজেপির। ফলে সংখ্যালঘু ভোট ধরে রাখাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’’
আসন্ন নির্বাচনে জয়ের স্বপ্ন দেখছে বিজেপিও। এ দিন হরিশ্চন্দ্রপুরে আয়োজিত কর্মশালায় নির্বাচনে দলের কৌশল কী হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়।
মিম-কে নিশানা করায় দলের মালদহের আহ্বায়ক মতিউর রহমান এ দিন বলেন, ‘‘তৃণমূলই বিজেপিকে এ রাজ্যে জায়গা করে দিয়েছে। নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক ওরা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়ে মিমকে নিশানা করছে।’’
জেলা বিজেপি সম্পাদক দীপঙ্কর রাম বলেন, ‘‘মিমের সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে দেখে এখন ওরা অনেক কিছুই বলবে।’’
এ দিকে বিধানসভা ভোটের আগে সাংগঠনিক কাজ চালাতে কালিয়াচক ১ ব্লকে 'রাজনৈতিক কার্যালয়' চালু করল যুব তৃণমূল। রবিবার বিকেলে এই কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন মালদহ জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস। পাশাপাশি এ দিন সদ্যগঠিত কালিয়াচক ১ ব্লকের যুব তৃণমূল কমিটির পদাধিকারী ও সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। কালিয়াচক চৌরঙ্গি মোড়ে সংগঠনের তরফে একটি জনসভাও করা হয়।