দুই শিবিরে দুই ছবি কোচবিহারে

প্রচার শুরু তৃণমূল প্রার্থীর

বিজেপি, কংগ্রেসের প্রার্থীদের নাম এখনও ঘোষণা হয়নি। বামেরাও নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচি ঘোষণা করেনি। এই পরিস্থিতির মধ্যেও শনিবার দিনভর জেলার বিভিন্ন এলাকা চষে প্রচার চালালেন তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:০৪
Share:

বিজেপি, কংগ্রেসের প্রার্থীদের নাম এখনও ঘোষণা হয়নি। বামেরাও নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচি ঘোষণা করেনি। এই পরিস্থিতির মধ্যেও শনিবার দিনভর জেলার বিভিন্ন এলাকা চষে প্রচার চালালেন তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায়। ১৯ নভেম্বর কোচবিহারের ওই আসনে উপনির্বাচনের দিন ঘোষিত হয়েছে।

Advertisement

এ দিন সকাল থেকে দিনভর কোচবিহার, শীতলখুচি, মাথাভাঙা ও সিতাইয়ের বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়ান তিনি। দলের যুযুধান বিভিন্ন শিবিরের নেতাদের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ থেকে এলাকাগত প্রচার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। বিরোধীরা যেখানে এখনও সেভাবে ময়দানেই নামেনি, সেখানে তৃণমূল প্রার্থীর এমন তৎপরতা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। সব শিবিরের মন পেতেই প্রার্থীকে চরকি পাক খেতে হচ্ছে কি না সে প্রশ্নও উঠেছে।

পার্থপ্রতিমবাবু বলেন, “বিরোধীদের ধর্তব্যের মধ্যে রাখছি না। জেলা সভাপতি উপনির্বাচনের জয়ের ব্যবধানের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে দু’লক্ষের বেশি করার উপরে জোর দিয়েছেন। সে কথা মাথায় রেখেই সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইছি।”

Advertisement

দল সূত্রের খবর, এ দিন তিনি জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী, শীতলখুচির বিধায়ক হিতেন বর্মন, মাথাভাঙার পুর চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামানিক-সহ বিশিষ্টজনদের সঙ্গে দেখা করেন। সিতাইয়ে মহামিছিল ও আদাবাড়িতে একটি কর্মিসভাতেও যোগ দেন।

অন্যদিকে বাম শিবিরের আনুষ্ঠানিক প্রচার কর্মসূচি চূড়ান্ত না হলেও শনিবার সিতাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ কর্মসূচি নেন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী নৃপেন রায়। আজ রবিবার কোচবিহারে কর্মীসভা করবে বামফ্রন্ট। শহরের সুকান্ত মঞ্চে ওই সভা হবে।

ফ্রন্ট সূত্রের খবর, ওই সভাতে সব শরিক দলের নেতাদের পাশাপাশি জেলার সমস্ত এলাকার বাছাই করা কর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। নৃপেনবাবু বলেন, “রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস চলছে। মানুষ ব্যালটেই এ বার সব জবাব দেবেন।” সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মহানন্দ সাহা বলেন, “রবিবারের বৈঠকেই জেলার নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়ে যাবে।”

কংগ্রেস অবশ্য হাইকম্যান্ডের মুখাপেক্ষী হয়ে রয়েছে। দল সূত্রের খবর, সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা তৈরি করে প্রদেশ নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছেন জেলা নেতারা। দিল্লিতে হাইকম্যান্ডের ছাড়পত্রের ওপর প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা থেকে নির্বাচনে লড়াই, সব ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দলের জেলা সভাপতি শ্যামল চৌধুরী বলেন, “আমরা সব রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি। সোমবার কলকাতায় বৈঠক হবে। ওই দিনই উপনির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আশা করছি।”

বিজেপি শিবিরেও সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে সাংগঠনিক একাধিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। জল্পনা বেড়েছে বংশীবদন বর্মনের দলে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়েও। কিন্তু প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হওয়ায় প্রচারের উন্মাদনা শুরু হয়নি। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য হেমচন্দ্র বর্মন অবশ্য বলেন, “সাংগঠনিকভাবে আমরা পুরোপুরি তৈরি। খুব শীঘ্রই দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়ে যাবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন