পছন্দের শ্রমিককে কাজে নেওয়ার দাবি, স্কুলে ঘেরাও

গরমের ছুটির পর সোমবারই স্কুল খুলেছে৷ আর স্কুল খোলার প্রথম দিনই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক-সহ চারজন শিক্ষককে দিনভর ঘেরাও করে রাখার অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির গরালবাড়ির ফোদরপাড়া বি এফ পি স্কুলে৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৬ ০৭:৩৪
Share:

গরমের ছুটির পর সোমবারই স্কুল খুলেছে৷ আর স্কুল খোলার প্রথম দিনই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক-সহ চারজন শিক্ষককে দিনভর ঘেরাও করে রাখার অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির গরালবাড়ির ফোদরপাড়া বি এফ পি স্কুলে৷ ঘটনার জেরে গরমের ছুটির পর স্কুল খোলার প্রথমদিনেই আজ স্কুলটিতে পঠন-পাঠন হয়নি৷ স্কুল শুরুর ঘণ্টাখানেক পরই ছাত্র-ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়৷ দীর্ঘ প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা ঘেরাও থাকার পর মুক্ত হন শিক্ষকরা৷ তবে তার আগে প্রধান শিক্ষককে তৃণমূল নেতাদের কাছে একটি মুচলেকাও জমা দিতে হয়৷

Advertisement

স্কুল সূত্রের খবর, স্কুলের নতুন একটি ভবন নির্মাণকে ঘিরেই সমস্যার সূত্রপাত৷ ২০১১-১২সালে ওই ভবনটি নির্মাণের জন্য প্রায় সাড়ে তেরো লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়৷ তবে কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে৷ স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রলয়কুমার সাহার অভিযোগ, “ওই বছরই গরমের ছুটি চলার সময়, যখন কাজ খানিকটা হয়েও গেছে তখন তাদের পছন্দের শ্রমিকদের কাজে নিতে হবে এবং হাজিরা দিতে হবে এই দাবিতে দলের ঝান্ডা লাগিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা৷ পরবর্তীতে এ বছর ২৩ জানুয়ারি তারাই আবা সেই ঝান্ডা খুলে কাজ শুরু করতে বলে ৷ কিন্তু শর্ত হিসেবে মিস্ত্রিদের হাজিরা বাড়াতেও বলে৷ কিন্তু একবার টেন্ডার হয়ে গেলে রি-টেন্ডার ছাড়া সেটা সম্ভব নয় বলে আমি তাদের জানাই৷” ফলে কাজ বন্ধই থাকে ৷

কিন্তু আজ গরমের ছুটির পর স্কুল খুলতেই স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষক সহ অন্য তিন শিক্ষককে ঘেরাও করে রাখে বলে অভিযোগ ৷ প্রধান শিক্ষকের কথায়, “সরকারি নিয়ম না মেনে আমি তাদের কথা কেন শুনলাম না সেটাই আমার দোষ ছিল৷” প্রধান শিক্ষকের কথায়, সন্ধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসেরই অন্য কিছু নেতা স্কুলে এসে তাকে দিয়ে মুচলেকা লিখতে বাধ্য করেন৷ সেখানে বলা হয় পরবর্তীতে তার ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ যেমনটা নির্দেশ দেবেন সেভাবেই কাজ করবেন ৷

Advertisement

যদিও তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল কমিটির সদস্য জামিনার রহমান বলেন, “স্কুলের নতুন ভবন নিয়ে দূর্নীতি হচ্ছে ৷ খামোকা কাজ করতে দেরি করছিলেন প্রধান শিক্ষক ৷ তাই আমরা আজ তাকে ঘেরাও করেছি ৷”

এদিকে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) তৃপ্তি গুহ জানিয়েছেন, “সর্ব শিক্ষা থেকে বরাদ্দ টাকায় একটা ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ থাকা নিয়ে আজ ফোদরপাড়া বি এফ পি স্কুলে শিক্ষকদের সারাদিন ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল বলে শুনেছি ৷ কেন ঘটনাটি ঘটল আমরা তা খতিয়ে দেখছি ৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন