ছবি: সংগৃহীত।
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের কর্মী-সমর্থকদের মনোবল জোগাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াকু মানসিকতার দৃষ্টান্ত তুলে ধরছেন কংগ্রেস নেতারা।
শনিবার শিলিগুড়িতে এসেছিলেন প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতি আলবিরুনী জুলকারনাইন। শিলিগুড়িতে সাংগঠনিক বৈঠকের শেষে সাংবাদিক বৈঠকে বিভিন্ন জেলায় যে সংগঠনের হাল খারাপ তা মেনে নেন আলবিরুনী। সে কারণেই তাঁর জেলা সফর বলেও দাবি করেছেন। দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস (সমতল) সভাপতি তথা বিধায়ক শঙ্কর মালাকারও বৈঠকে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘কর্মী-সমর্থকদের বলেছি মনোবল হারানোক কোনও বিষয়ই নয়। মমতারও (বন্দ্যোপাধ্যায়) এক সময়ে ১ জন সাংসদ ছিল এখন ৩৫ জন। একসময়ে মমতা-র (বন্দ্যোপাধ্যায়) সঙ্গে ছিল মাত্র ৩৪ জন বিধায়ক। এখন দু’শোর বেশি। লড়াই চালিয়ে গেলেই কাজ হবে। হতাশার কোনও জায়গা নেই।’’
আপাতত পঞ্চায়েত ভোটে সিংহভাগ বুথে প্রার্থী দিতে চায় কংগ্রেস। সে লক্ষ্যেই জেলা সফরে শাখা সংগঠনের নেতাদেরও জেলা সফরের নির্দেশ দিয়েছে প্রদেশ। সংগঠনের খামতির কথা স্বীকার করে আলবিরুনী এ দিন বলেন, ‘‘উত্তরের তুলনায় দক্ষিণের জেলাগুলিতে সংগঠন তেমন মজবুত নয় এ কথা ঠিক। নিষ্ক্রিয় হওয়া কর্মী-সমর্থকদের দলে ফেরাতে লাগাতার আন্দোলন চালানোর কৌশল নিয়েছে প্রদেশ যুব কংগ্রেস। বিশ্ববাংলা থেকে কর্মসংস্থান নানা বিষয়ে আন্দোলন হবে বলে দাবি আলবিরুনীর। আলিপুরদুয়ার-কোচবিহার-জলপাইগুড়িতেও যাবেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘বিশ্ব বাংলা নিয়ে আমরাই প্রথম আন্দোলন শুরু করেছিলাম। আমরাই আন্দোলন চালাব।’’
তৃণমূল নেত্রীর উদাহরণ টানলেও রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন চলবে তা সাফ দাবি করেছেন বিধায়ক শঙ্করবাবু থেকে আলবিরুনী সকলেই। শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘রাজ্যে কংগ্রেসকর্মীদের পুলিশ দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবু আমরা ভীত নই। তৃণমূল সরকারের দমন পীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে।’’ মুকুল রায়ের বিজেপিতে যোগ নিয়েও কটাক্ষ করেছেন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘সবটাই আসলে সাজানো ঘটনা।’’