প্রতীকী ছবি।
তৃণমূল নেতার গুলি করার হুমকি সংক্রান্ত ভিডিয়োটি নিয়ে তরজায় শাসক-বিরোধী দু’পক্ষ। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এক বছরের পুরনো ভিডিয়োটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ শাসকদলের। সোমবার আলিপুরদুয়ারে সামাজিক মাধ্যমের একটি ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে এই তরজা।
ভিডিয়োটির সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি। তাতে দেখা যায়, ফুটপাথের উপর দাঁড়িয়ে শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা স্বপন মজুমদার বলছেন, ‘আইন মানি না।’ সেই সময় একজন তাঁকে জানান যে, ক্যামেরা চলছে। তাতে স্বপনবাবুকে বলতে শোনা যায়, ‘ক্যামেরা চলুক। গালি দিয়ে কথা বলব। রেকর্ডিং করলে গুলি করে দেব। মেরে দেব। হাড্ডি ভেঙে দেব। আমার কিছু হবে না।’
জেলা তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, সামনে লোকসভা নির্বাচন এবং পুরভোট রয়েছে বলে বিজেপি এক বছর আগের ভিডিয়োকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভাইরাল করতে চাইছে। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, ‘‘বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার কারণ নেই। পুরনো ভিডিয়ো ভাইরাল করে বাজার গরম করতে চাইছে বিজেপি। জানতে পেরেছি, ভিডিয়োটি বিজেপি’র জেলা যুবমোর্চার সহ-সভাপতির পরিবারের ভিডিয়ো। তাঁরা আদালতে অভিযোগ করেছেন বলেও শুনেছি। এ থেকেই স্পষ্ট যে, কী উদ্দেশ্যে এক বছরের পুরোনো কোনও ভিডিয়োকে এখন ভাইরাল করা হচ্ছে!’’
অভিযোগকারী দীপঙ্কর কর্মকারের বক্তব্য, ভিডিয়োটি এক বছরের পুরনো হলেও তাঁরা আতঙ্কেই রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘কয়েক মাস হল পুরসভায় প্রশাসক বসেছে। ওই তৃণমূল নেতার স্ত্রী এলাকার কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি বর্তমানে কাউন্সিলর নেই। তাই সাহস করে ভিডিয়োটি দেওয়া গিয়েছে।’’
বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘‘তৃণমূলের সংস্কৃতি এটাই! তৃণমূল নেতারা বলছেন, ভিডিয়োওটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা। প্রশ্ন হল, তাঁরা কি গুলি করার হুমকিকে সমর্থন করছেন? এ দিনও স্বপনবাবুকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। বন্ধ ছিল তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনও।