বাধার আশঙ্কায় নানা কৌশল

জলপাইগুড়ির জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা কেন বাধা দিতে যাব? বিজেপি নেতারা এখন বুঝেছেন মোদীকে দিয়ে ঘরের ভিতর সভা করতে হত। মাঠের সভায় লজ্জায় মুখ লুকোতে হবে বলে আশঙ্কায় প্রলাপ বকছে সকলে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ময়নাগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিদ্যুতের বিল, রেশন কার্ড, খাজনার কাগজ নয়ত বাচ্চার স্কুলের কার্ড— যে কোনও একটা পকেটে নিয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের মোদীর সভায় আসতে বলছেন বিজেপি নেতারা। এসপিজি এবং পুলিশের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, সভায় ঢোকার জন্য কোনও প্রমাণপত্র প্রয়োজন নেই। কিন্তু বিজেপি নেতাদের আশঙ্কা, চূড়াভাণ্ডার লাগোয়া বিভিন্ন গ্রামে মোদীর সভার দিন সকাল থেকে তৃণমূল কর্মীরা বাধা দেওয়া শুরু করবে। বাধার মুখে পড়লে বিদ্যুতের বিল দিতে যাচ্ছি অথবা রেশন তুলতে যাচ্ছি এমন অজুহাত দিয়ে বাধা টপকানোর এমন কৌশলই বিজেপি নিয়েছে বলে দল সূত্রে খবর।

Advertisement

জেলার পাঁচশো জন বাছাই করা কর্মী নিয়ে বিশেষ ‘দল’ও তৈরির কথা শোনা গেল অনেক বিজেপি নেতাদের মুখে। এই দলের সদস্যরা প্রতিটি গ্রাম এবং শহরের মোড়ে মোড়ে বাইক এবং গাড়ি নিয়ে থাকবেন। আগামী শুক্রবার সকালে সভার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া কর্মী-সমর্থকদের আচকানো হয়েছে এমন খবর পেলেই সেখানে ছুটবেন এই দলের সদস্যরা। বিজেপি নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছে, কর্মী-সমর্থকদের বাধা দেওয়া হলে প্রথমে নিজেরাই মোকাবিলা করার চেষ্টা হবে। তাতে কাজ না হলে পুরো ঘটনা মোবাইলে ভিডিয়ো করে জেলা নেতৃত্বদের পাঠাতে হবে। এ দিন সভার মাঠে দেখা মিলল ময়নাগুড়ি মধ্য মণ্ডলের বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী রত্না রায়ের। তিনি বললেন, “আমরা কর্মী সমর্থকদের বলেছি, যে ভাবেই হোক মাঠে আসতে হবে। আমাদের বাধা দেওয়া হবে জানি। পাল্টা কৌশল আমরাও করেছি।”

প্রধানমন্ত্রীর সভামঞ্চের থেকে লাগোয়া জাতীয় সড়কের দূরত্ব ৮০০ মিটার। মাঠে ধূ ধূ বিশাল জায়গা। পূর্ত দফতর-এসপিজির দাবি, লক্ষাধিক লোক মাঠে আঁটতে পারে। এই লোক জোটানোই আপাতত চ্যালেঞ্জ বিজেপির। তা নিয়ে তৎপরতাও চোখে পড়ল বুধবার চূড়াভাণ্ডারের মাঠে। প্রধানমন্ত্রীর সভার দিন স্বেচ্ছাসেবকদের ডাল-ভাত-তরকারি খাওয়ানো হবে কি না তা নিয়ে সভার মাঠে দাঁড়িয়েই আলোচনা করছিলেন বিজেপির জনাকয়েক স্থানীয় নেতা কর্মী। আগামী শুক্রবার ময়নাগুড়ির চূড়াভাণ্ডারে মোদীর সভা আয়োজনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির রাজ্য নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য নেতারা মাঠে আসতে তাঁর কাছে সে কথা জানানো হলো। কর্মীদের দাবি, সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ এলো, ‘আগে মাঠে যাতে বেশি লোক আসতে পারে তার ব্যবস্থা করুন।’ খাওয়ার আলোচনা মুলতুবিই রেখে কর্মীরা ছুটলেন লোক জোটানোর বন্দোবস্তে।

Advertisement

জলপাইগুড়ির জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা কেন বাধা দিতে যাব? বিজেপি নেতারা এখন বুঝেছেন মোদীকে দিয়ে ঘরের ভিতর সভা করতে হত। মাঠের সভায় লজ্জায় মুখ লুকোতে হবে বলে আশঙ্কায় প্রলাপ বকছে সকলে।”

বিভিন্ন পাড়া থেকে পোস্টার-পতাকা ছেঁডার অভিযোগও তুলছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। শাসক তৃণমূল অবশ্য সেই অভিযোগও পাত্তা দিতে নারাজ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন