প্রতীকী ছবি।
তরাই ও ডুয়ার্সের ৪৪৬টি মৌজাকে পঞ্চম তফসিলের আওতায় ‘সিডিউল ডিস্ট্রিক্ট এরিয়া’ ঘোষণার দাবি আগেই তুলেছেন তিনি। আর এ বার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে স্বশাসনের দাবি তুললেন তৃণমূল নেতা রাজেশ লাকড়া তথা টাইগার। সোমবার বিশ্ব আদিবাসী দিবসে এই দাবিকে সামনে রেখে তাঁর সংগঠন ‘ভারতীয় মূলনিবাসী আদিবাসী বিকাশ পরিষদ’ বীরপাড়ায় একটি মিছিলেরও ডাক দিয়েছে। যে মিছিলে টাইগারের সঙ্গে উপস্থিত থাকার কথা গ্রেটার কোচবিহার নেতা বংশীবদন বর্মণেরও। যদিও টাইগারের নতুন দাবি বা সেই দাবির সমর্থনে মিছিল নিয়ে খুশি নন তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা শীর্ষ নেতারা।
গত বছর ডিসেম্বর মাসের শেষে তৃণমূলে যোগ দেন টাইগার। মাস কয়েক আগে বিধানসভা
নির্বাচনে তাঁকে মাদারিহাট কেন্দ্রে প্রার্থী করে তৃণমূল। তবে টাইগার এখনও ভারতীয় মূলনিবাসী আদিবাসী বিকাশ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। সম্প্রতি বানারহাটে ওই সংগঠনের একটি বৈঠকের পরে টাইগার পঞ্চম সিডিউলের আওতায় দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের ৪৪৬টি মৌজাকে ‘সিডিউল ডিস্ট্রিক্ট এরিয়া’ ঘোষণা করে সেখানে স্বশাসনের দাবি তোলেন। সূত্রের খবর, এরইমধ্যে টাইগারের সঙ্গে বংশীবদনের একপ্রস্থ আলোচনা হয়। রবিবার টাইগার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে স্বশাসনের দাবি তোলেন।
এ দিন টাইগার বলেন, ‘‘এখন আমাদের সঙ্গে গ্রেটার কোচবিহার নেতা বংশীবদন বর্মণও রয়েছেন। সংবিধান ওঁদেরও কিছু অধিকার দিয়েছে। সে জন্যই আমরা চাইছি দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারকে নিয়ে একটি অটোনমাস কাউন্সিল গঠন করা হোক। এবং এখানে স্বশাসন প্রতিষ্ঠা হোক।’’ তবে বংশীবদন বলেন, ‘‘ভারতভুক্তি চুক্তি অনুযায়ী গ্রেটার কোচবিহারের যে স্ট্যাটাস ও অধিকার, সেটা আমরা ফেরত চাই। গ্রেটার কোচবিহার এলাকার মধ্যে আদিবাসীরা যাঁরা রয়েছেন, তাঁরাও তাদের সাংবিধানিক অধিকার ফেরত্ পান, আমরা সেটাও চাই। সোমবার বীরপাড়ার মিছিলে আমরা সামিল হবো।’’
কিছুদিন আগে উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি তুলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা। এরইমধ্যে টাইগার উত্তরবঙ্গের চার জেলায় স্বশাসনের দাবি তোলায় খুশি নন জেলা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের একটা বড় অংশ। তাঁদের কথায়, ‘‘দলের শীর্ষ নেতারা এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্ধকারে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘‘এই দাবির বিষয়ে দলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে টাইগার কোনও আলোচনা করেননি। তাই এ নিয়ে এখন কোনও মন্তব্য করবো না।’’ টাইগারের অবশ্য দাবি, ‘‘উত্তরের চার জেলায় স্বশাসন হলে তৃণমূলেরই লাভ হবে।’’