ঘেরাওয়ের হুমকি উদয়নের

শহরে একের পর এক চুরি, ছিনতাইয়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে থানা ঘেরাওয়ের হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। শনিবার দিনহাটা থানায় গিয়ে স্মারকলিপি দেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:৫৭
Share:

শহরে একের পর এক চুরি, ছিনতাইয়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে থানা ঘেরাওয়ের হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। শনিবার দিনহাটা থানায় গিয়ে স্মারকলিপি দেন তিনি। শুক্রবার রাত ১০ টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে প্রণব রায় নামে এক অলঙ্কার ব্যবসায়ীর কাছে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় দুই দুষ্কৃতী। ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ব্যাগে আড়াই লক্ষাধিক টাকার সোনার অলঙ্কার ছিল। একটি নম্বর-প্লেটহীন মোটরবাইকে চেপে ওই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।

Advertisement

বিধায়ক উদয়নবাবু বলেন, “নানা উন্নয়নের কাজ করছি আমরা। কিন্তু আমাদের সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দিনহাটা থানার জন্যে। পুলিশের কাজ শুধু তোলাবাজি নয়, পুলিশের কাজ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া। পুলিশের ব্যর্থতা না থাকলে পর পর চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটত না। এর পরেও যদি সমস্যা না মেটে তাহলে শাসক দল হয়েও আমরা থানা ঘেরাও করতে বাধ্য হব।” তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশের টহলদারি না থাকার জন্যেই নম্বর-প্লেটহীন মোটরবাইক নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, ছিনতাই চুরির সঙ্গে জড়িত থাকা দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই প্রসেনজিৎ বর্মন নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া একটি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। বাইক চুরিতে জড়িত সন্দেহেও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “দেখা হচ্ছে।”

বিধায়ক নিজে এ দিন দাবি করেন, গত পনেরো দিনে ৮ টি অপরাধ সংগঠিত হয়েছে শহরে। তার মধ্যে দু’টি ছিনতাইয়ের ঘটনা। এ ছাড়া তিনটি দোকানে চুরি, একটি বাড়িতে চুরি এবং দু’টি বাইক চুরির ঘটনা ঘটেছে। বিয়ে বাড়ির সামনে থেকেও একটি বাইক চুরি হয়েছে। বিধায়ক বলেন, “দুষ্কৃতীদের সাহস এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে তারা পুলিশকে ভয় পাচ্ছে না। সাধারণ মানুষ পুলিশের উপর আস্থা হারিয়েছে। পুলিশ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করুক। আমরা সহযোগিতা করব। কাউকে ছাড়ানোর কথা বলা হবে না।”

Advertisement

এ দিন উদয়নবাবুর সঙ্গে তৃণমূল নেতা অসীম নন্দী, বিশু ধর, ছাত্র নেতা সাবির সাহা চৌধুরী থানায় যান। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “আইনের শাসন কোথাও নেই। শাসক দলেই দুষ্কৃতীদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে। সেটা সবাই জানে। উদয়নবাবুরা যাই বলুক না কেন মানুষ তাঁদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন