Corruption

দুর্নীতি: কোর্টে গিয়ে ধরা দিলেন প্রধান

প্রধান লায়লা ও পঞ্চায়েতের আধিকারিকের একাংশের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত বছরের মে মাস থেকে একটানা আন্দোলন শুরু করে বিন্দোল নাগরিক কমিটি।

Advertisement

গৌর আচার্য

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২০ ০৭:০০
Share:

প্রতীকী ছবি

আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান। অভিযুক্ত লায়লা খাতুনের স্বামী ওই পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান মনসুর আলি এলাকায় যুব তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত। বুধবার দুপুরে রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের সরকারি আইনজীবী নীলাদ্রি সরকারের বক্তব্য, ‘‘সরকারি টাকা তছরুপ, জালিয়াতি, সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে পুলিশ লায়লার বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে। বিচারক পেনডেন ডুকপা তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।’’

Advertisement

উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির স্বার্থে অনেক আগেই ওই প্রধানের পুলিশ বা আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করা উচিত ছিল।’’

প্রধান লায়লা ও পঞ্চায়েতের আধিকারিকের একাংশের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত বছরের মে মাস থেকে একটানা আন্দোলন শুরু করে বিন্দোল নাগরিক কমিটি। কমিটির অভিযোগ, অভিযুক্তরা ১০০ দিনের প্রকল্প ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেকে ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা তছরুপ করেছেন। প্রশাসন তদন্তে নেমে গত বছরের ২২ জুলাই রায়গঞ্জের বিডিও চিঠি পাঠিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ওই প্রকল্পের ৬ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩৬৪ টাকা জেলা প্রশাসনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে প্রধানকে নির্দেশ দেন। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও প্রধান টাকা ফেরত দেননি বলে প্রশাসনের অভিযোগ। এর পরেই বিডিওর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ লায়লা ও ওই পঞ্চায়েতের কার্যনির্বাহী সহায়কের বিরুদ্ধে তছরুপ, জালিয়াতি, সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে একাধিক জামিন অযোগ্য মামলা দায়ের করে।

Advertisement

জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এর আগে উচ্চ আদালতে লায়লার আগাম জামিনের আবেদন নাকচ হয়েছে। তাই নিম্ন আদালতে তাঁর আত্মসমর্পণ করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না।

মনসুরের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তিনি আগেই দাবি করেছেন, তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর জন্য দলের কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা ও কর্মী পঞ্চায়েতকে ব্যবহার করে বেআইনি ভাবে টাকা রোজগার করতে পারছিলেন না। সেই কারণেই, তাঁরা প্রশাসনকে চাপ দিয়ে লায়লাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন