প্রতিবাদে পথে তৃণমূলও

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কর্মিসভা চলাকালীন সভাস্থল থেকে প্রায় ১৫ মিটার দূরে তৃণমূলের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকালে উত্তেজনা ছড়াল রায়গঞ্জের সুপারমার্কেট এলাকায়।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৭ ০৭:১০
Share:

প্রতিবাদ: জলপাইগুড়িতে বিজেপির সদর কার্যালয়ের সামনে তৃণমূলের বিক্ষোভ। শনিবার। ছবি: সন্দীপ পাল

পাহাড়ের আঁচ লাগল সমতলেও। দার্জিলিং পাহাড়কে ফের অশান্ত করতে চাইছে বিজেপি এই অভিযোগ তুলে গোটা রাজ্যের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সব জেলা ও মহকুমা শহরেও ধিক্কার মিছিল করল তৃণমূল। বাদ যায়নি গ্রাম এবং জনপদও। অন্যদিকে বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচিও ছিল এ দিন। যুযুধান দু’পক্ষের মিছিলে উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়ে কয়েকটি এলাকায়।

Advertisement

উত্তর দিনাজপুর

Advertisement

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কর্মিসভা চলাকালীন সভাস্থল থেকে প্রায় ১৫ মিটার দূরে তৃণমূলের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকালে উত্তেজনা ছড়াল রায়গঞ্জের সুপারমার্কেট এলাকায়। একই সময়ে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্য ভাগের প্রচেষ্টা ও উস্কানিমূলক কাজকর্মের অভিযোগ তুলে রায়গঞ্জের শিলিগুড়িমোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে তৃণমূল। মিছিল থেকে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠতে শুরু করে। উত্তেজনা বাড়তে থাকায় পুলিশ বিজেপির নেতা কর্মীদের ওই ভবনেই আটকে দেয়। তৃণমূল ভবনের সামনে প্রায় এক ঘণ্টা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে।

মালদহ

মালদহ জেলাজুড়েও এ দিন বিক্ষোভ মিছিল করে তৃণমূল। ইংরেজবাজার শহর সহ পুরাতন মালদহ শহর ও ব্লক, হবিবপুর, বামনগোলা, গাজোল, রতুয়া, চাঁচলে বিক্ষোভ মিছিল করে শাসকদল। পুরাতন মালদহে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কুশপুতুলও পোড়ানো হয়।

দক্ষিণ দিনাজপুর

বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলা ভাগের চক্রান্তের অভিযোগ তুলে শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরেও বিক্ষোভ দেখালো তৃণমূল। বালুরঘাট শহর পরিক্রমা করে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে জমায়েত হয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন। বিভিন্ন ব্লকে নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল দাহ করা হয়।

দার্জিলিং

শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম থেকে ধিক্কার মিছিল বের হয়। শহর ছাড়া লাগোয়া এলাকার কর্মী-সমর্থকরা মিছিলে জড়ো হয়েছিলেন। গত দু’দিন বিজেপি শিলিগুড়িতে মিছিল করলেও এ দিন তাদের কোনও কর্মসূচি ছিল না। রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী তথা দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দেব বলেন, ‘‘মিছিল করে পাহাড়ে শান্তির বার্তা দেওয়া হয়েছে।’’

জলপাইগুড়ি

‘‘যারা নেত্রীকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করবেন তাদের কানের গোড়ায় দেওয়া হবে’’, মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী ৷ দলের উত্তরবঙ্গের সহকারী আহ্বায়ক দীপেন প্রামাণিকের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ার পর ওদের কানের পাশে যদি কেউ মারে, তবে সৌরভবাবুরা তার বিরোধিতা করবেন নাতো?’’ বিকালে জেলা তৃণমূল প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিলেও দুপুর বেলাতেই শহরে একটি মিছিল করে টিএমসিপি৷

কোচবিহার

বিজেপির বিরুদ্ধে ধিক্কার মিছিলের কর্মসূচির আড়ালে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কোচবিহারে ঘর গোছানোর কাজ শুরু করল তৃণমূল। শনিবার দুপুরে দলের জেলা কমিটির বৈঠক হয়। তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ওই যুদ্ধের কৌশল ঠিক করতেই সবাই বসেছিলাম।” পরে বিজেপির বিরুদ্ধে পাহাড়ে অশান্তির তৈরির অভিযোগ তুলে তাঁর নেতৃত্বে মিছিল হয়েছে।

আলিপুরদুয়ার

বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলও। নাম না করে বিজেপিকে কেউটে সাপের সঙ্গে তুলনা করেন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। সৌরভবাবুর অভিযোগ, ‘‘দার্জিলিংয়ে অশান্তি ছড়ানোর জন্য এসেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানো চেষ্টা করছে বিজেপি।’’ এদিন সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “বিষধর কেউট সাপ দেখলে যা ব্যবহার করা উচিত ওদের সঙ্গেও তাই করা উচিত।” বিজেপির আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার পাল্টা অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল আর পুলিশ এক সঙ্গে মিশে হিংসার রাজনীতি করছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন