Jalpaiguri TMC

কলকাতায় তলব জেলার নেতাদের

দীর্ঘ দিন ধরে জলপাইগুড়ি জেলা কমিটি ঘোষণা আটকে রয়েছে। মাসখানেক আগে জেলা থেকে একটি কমিটির তালিকা পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তাতে রাজ্য নেতৃত্বের সিলমোহর পড়েনি।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:১৮
Share:

প্রতীকী চিত্র

কলকাতায় ‘জরুরি’ তলব পড়েছে জলপাইগুড়ির জেলা তৃণমূল নেতাদের। আগামী শুক্রবার কলকাতায় বৈঠকে ডাকা হয়েছে জেলা নেতৃত্বকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে ডাক এসেছে নেতাদের। জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী সহ দলের জেলা কোঅর্ডিনেটররা এবং জেলা যুব সভাপতিকেও বৈঠকে ডাকা হয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও থাকতে পারেন।

Advertisement

দীর্ঘ দিন ধরে জলপাইগুড়ি জেলা কমিটি ঘোষণা আটকে রয়েছে। মাসখানেক আগে জেলা থেকে একটি কমিটির তালিকা পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তাতে রাজ্য নেতৃত্বের সিলমোহর পড়েনি। সূত্রের খবর, জেলা কমিটি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। এ দিন বুধবার তৃণমূলের কৃষক সংগঠনের কেন্দ্রবিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচিতে জেলার সব নেতাদের সামিল হতে দেখা গিয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এই কর্মসূচি হয়েছে। একসঙ্গে না হলেও বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা সকলেই কোথাও না কোথাও কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।

জলপাইগুড়ি জেলা কিসান খেত মজদুরের সভাপতি তথা জেলাপরিষদের সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, “সর্বস্তরের নেতারা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। জেলার প্রতিটা ব্লকে কর্মসূচি হয়েছে।” জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী পাহারপুর, কোনপাকড়ি-সহ একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। অসুস্থ শরীর নিয়ে কোনপাকড়ির অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মোহন বসুও। জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “বিরোধী সব নেতারা একসঙ্গে হাতধরে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন এমন নয়, তবে সকলে একই কর্মসূচি পালন করেছেন এটাও কম কথা কী!” রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ কোনও গোষ্ঠীই অমান্য করতে পারেনি বলে দাবি দলের আর একটি অংশের।

Advertisement

আগামী শুক্রবার কলকাতার বৈঠকে রাজ্য নেতৃত্ব কী বার্তা দেন সেটাই দেখার। জেলায় বারবার প্রকাশ্যে এসেছে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কিছুদিন আগে জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় সরাসরি আক্রমণ করেছিলেন জেলা সভাপতিকে। দল পরিচালনা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছিলেন। দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে নালিশ জানানোর কথাও বলেছিলেন। তৃণমূলের

একটি সূত্রের খবর, দলের সব গোষ্ঠীকে সংযত থাকার বার্তা দিতে পারে রাজ্য নেতৃত্ব। জেলা কমিটি ঘোষণা হলে তা নিয়ে বিরোধিতায় যেন প্রকাশ্যে কেউ মুখ না খোলেন সে নির্দেশও দেওয়া হতে পারে। সেই সঙ্গে বিজেপি থেকে কতজন নেতা-কর্মী যোগ দিয়েছেন তার হিসেবও চাওয়া হতে পারে। সূত্রের খবর, জেলা তৃণমূলের অন্দরে বিভিন্ন সাংগঠনিক দায়িত্বেও রদবদল হতে পারে বলে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement