তৃণমূলে আশঙ্কা, সতর্ক জল্পেশ

গৌতমের স্ত্রী জয়ন্তী একসময়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনিও গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে পারেন বলে খবর।

Advertisement

অনির্বাণ রায় ও পার্থ চক্রবর্তী

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৩৭
Share:

দেড় বছরের ব্যবধানে সবংয়ের মতো মরা গাঙে ভোটের হার বেড়েছে ১৫ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ পর্যন্ত টুইট করে সবংয়ের বিজেপি কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন থেকে শুরু করে রাজ্যের সর্বত্রই ভোট হলে বিজেপির বাক্সে বাড়তি ব্যালট জমা হওয়ার এই প্রবণতা থেকে আশায় উত্তরবঙ্গে দলের লোকজন। একই সঙ্গে আশায় তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরাও। এর মধ্যেই তলে তলে তাঁরা বিজেপির নেতাদের কারও কারও সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন বলেও বিভিন্ন সূত্রে খবর।

Advertisement

এই তালিকায় উঠে এসেছে জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সম্পাদক-সহ বাইশ জন আইনজীবীর নাম। যদিও কেউই প্রকাশ্যে এই জল্পনায় যোগ দিতে চাইছেন না। তবে অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সম্পাদক গৌতম পালকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘দল পরিবর্তন কোনও অন্যায় নয়। তবে এ নিয়ে এখন কিছু বলছি না।’’

গৌতমের স্ত্রী জয়ন্তী একসময়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনিও গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে পারেন বলে খবর। এক আইনজীবী জানান, এখনই সরাসরি তাঁরা দলে যোগ দিতে পারবেন না। কারণ, তাঁরা সরকারি প্যানেলে রয়েছেন।

Advertisement

বিজেপির দাবি, এদের বেশির ভাগই মুকুল রায়ের পূর্বপরিচিত। ৩০ ডিসেম্বর জলপাইগুড়িতে আসছেন মুকুল। তখনই এই যোগদান পর্ব হতে পারে। বিজেপিরই একটি সূত্র বলছে, তৃণমূলে যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত, তাঁরা দল বদলাতে উদগ্রীব। তৃণমূলের আইনজীবী সেলের নেতা গৌতম দাস বলছেন, ‘‘যাঁদের নাম হাওয়ায় উড়ছে তাঁরা দল বদলালে ক্ষতি নেই।’’

মুকুলের জলপাইগুড়ি সফরের খবরে অবশ্য কিছুটা অস্বস্তিতে জল্পেশ মন্দির কর্তৃপক্ষ। এখান এলেই যে হেতু জল্পেশ মন্দিরে যান মুকুল, তাই তাঁদের সঙ্গে মুকুলের সম্পর্ক বেশ ভাল। এ বারেও তিনি যাবেন বলেই খবর। কিন্তু বিভিন্ন ভাবে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে অনুদান পাওয়া জল্পেশ মন্দির কর্তৃপক্ষ এ বার মুকুল নিয়ে সতর্ক। তাঁদের মতে, আথিয়েতায় ত্রুটি রাখবেন না তাঁরা। কিন্তু বাড়তি উচ্ছ্বাস দেখাবেন না। কারণ, প্রশাসনের রোষে পড়তে চান না তাঁরা। বিজেপি যদিও বলছে, মুকুলকে সাদরে আপ্যায়ন জানালে আখেরে লাভ হবে মন্দিরের। তহবিল আসতে পারে খোদ কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন