গোয়ালপাড়া গ্রামে মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। ছবি: বাপি মজুমদার।
আবার ‘ফ্রেন্ডলি ফায়ার’-এ বিব্রত তৃণমূল। এ বার বীরভূম নয়। ঘটনাস্থল মালদহের চাঁচল। মঙ্গলবার রাত থেকে শাসক দল আশ্রিত দু’দল দুষ্কৃতীর মধ্যে এলাকা দখলের লড়াইতে গোয়ালপাড়া গ্রামে মুড়িমুড়কির মতো পড়ল বোমা। চলল গুলিও। জখম হয়ে তিন জন মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। তবে সূত্রের খবর জখমের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। পুলিশের নজর এড়াতে মহানন্দা পেরিয়ে উত্তর দিনাজপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জখমদের অনেককে।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে চাঁচলের গোয়ালপাড়া গ্রামে তৃণমূল জিতেছে। কুবেদ আলি এবং জুনিয়র নামে দুই দুষ্কৃতীর গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই গোয়ালপাড়ায় বহু দিনের। দু’পক্ষই আপাতত তৃণমূলের ছাতার তলায়। স্থানীয় সূত্রে অন্তত তেমনই খবর। জুনিয়রের দাপটে কুবেদ আলির দলবল বেশ কিছু দিন ধরেই গ্রাম ছাড়া। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জুনিয়র গ্রেফতার হলেও তার গোষ্ঠীর লোকজনই এলাকায় আধিপত্য রেখেছিল। মঙ্গলবার রাতে কুবেদ আলি সদলবলে গোয়ালপাড়ায় ঢোকার চেষ্টা করে। তাতেই দুই দুষ্কৃতী দলের মধ্যে তুমুল বোমাবাজি এবং গুলি বিনিময় শুরু হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিন জনকে প্রথমে চাঁচলের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের স্থানান্তরিত করা হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। স্থানীয় সূত্রের খবর, বোমার আঘাতে আরও অনেকেই জখম হয়েছে। দুষ্কৃতীরাই তাদের নিয়ে মহানন্দা পেরিয়ে প্রতিবেশী উত্তর দিনাজপুর জেলায় গা ঢাকা দিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। চাঁচলের এসডিপিও রানা মুখোপাধ্যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা তৃণমূলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন অবশ্য গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোনও দুষ্কৃতীকে আশ্রয় দিই না। পুলিশকে বলেছি, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতার করা হোক।’’