‘সেলফি নেতা’ না হওয়ার পরামর্শ জয়ার

ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপে নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে যাঁরা প্রচার চান তাদের সে সব নিয়ে মাতামাতি না করে ছাত্র স্বার্থে কাজ করার পরামর্শ দেন সংগঠনের নেত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৭ ১২:৩০
Share:

অভ্যর্থনা: জয়া দত্তকে স্বাগত কনভেনশনে। —নিজস্ব চিত্র।

কলেজ গেটে দাঁড়িয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য রাজনীতি করা যাবে না বলে সংগঠনের ছাত্রনেতা-নেত্রীদের সতর্ক করলেন টিএমসিপি’র রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্ত। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সংগঠনের উত্তরবঙ্গ কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন তিনি। ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপে নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে যাঁরা প্রচার চান তাদের সে সব নিয়ে মাতামাতি না করে ছাত্র স্বার্থে কাজ করার পরামর্শ দেন সংগঠনের নেত্রী।

Advertisement

জয়া বলেন, ‘‘টিএমসিপি যাঁরা করেন তাঁরা মনে রাখবেন কলেজের গেটে দাঁড়িয়ে ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থের জন্য রাজনীতি করা যাবে না। ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে, মূল্যবোধের রাজনীতি করতে হবে।’’ সংগঠনের উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার ছাত্রনেতা, সদস্যদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, ‘‘সেলফি নেতা হওয়া চলবে না। জননেতা হয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। ফেসবুকে, হোয়াটস-অ্যাপে নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে তোলা ছবি দিয়ে নিজেকে ভাল নেতা মনে করলাম, সেটা কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হবে না। কারণ নেতা তৈরি করে জনগণ। তাঁরাই নির্দিষ্ট করে দেন কে নেতা।’’

শিলিগুড়ি ছাড়াও এ দিন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্র নেতারা কনভেনশনে যোগ দিতে আসেন। ২৮ অগস্ট কলকাতায় গাঁধী মূর্তির পাদদেশে টিএমসিপি’র প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের অনুষ্ঠান। সেখানে বিভিন্ন জেলা থেকে সংগঠনের সদস্যদের বেশি করে যোগদানের আহ্বান জানান নেত্রী। কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তমোঘ্ন ঘোষ, সহসভাপতি রেজাউল মোল্লা, সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি বরুণ দত্ত-সহ অনেকেই। শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার, নান্টু পাল, কৃষ্ণ পাল, তৃণমূল নেতা মদন ভট্টাচার্যরাও এ দিনের সভায় বক্তব্য রাখেন।

Advertisement

এখন রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপি অনেকটাই সক্রিয় হয়ে উঠেছে। শাসকদলের কাছেও তা চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। এ দিন টিএমসিপি’র রাজ্য সভানেত্রী কোনও দলের নাম না করে বলেছেন, ‘‘যারা শান্ত বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছে, ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে ভেদাভেদ করতে চাইছে, তাদের জানাতে চাই, তৃণমূলকে রাস্তার নামার জন্য কোনও অস্ত্রের প্রয়োজন নেই। আমাদের একটাই অস্ত্র উন্নয়ন।’’

অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের রাজ্য যুগ্ম সম্পাদক সপ্তর্ষি সরকারের প্রতিক্রিয়া, জয়াদেবী সরাসরি রাজনীতি নিয়ে কথা না বলে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে ভাবলেই ভাল। তাঁর কথায়, ‘‘বর্তমানে কলেজগুলিতে যে পরিস্থিতি তাতে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনই দায়ী। তাঁরাই ভর্তির রেটচার্ট টাঙিয়ে দিচ্ছে। রায়গঞ্জ-সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজগুলিতে তাদের গোষ্ঠী কোন্দল শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে। সেটাই তাঁরা দেখুন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন